শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব নিয়ে শুধু দেশ নয়, বিদেশের মানুষেরও উৎসাহের শেষ নেই। বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়া আর দোলে তীর্থ করা বাঙালির কাছে সমার্থক হয়ে উঠেছে। ফলে লোটাকম্বল গুটিয়ে শনিবারই বোলপুরের উদ্দেশে রওনা দেন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন। এসেছেন বিদেশি পর্যটকেরাও। সন্ধের পর বোলপুরে মাথা গোঁজার জায়গা মেলাই ভার হয়ে ওঠে। বছর বদলায় কিন্তু মানুষের বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়ার উৎসাহ বদলায় না, বদলায় না বোলপুরে জনসমুদ্রের চেহারা। দোলের দিন সকালে প্রথা মেনেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসন্ত উৎসব মানে বসন্তের আবাহন। যেখানে প্রকৃতি সেজে ওঠে পলাশ, শিমূলের রঙিন ছোঁয়ায়। প্রকৃতির রঙে রঙ মেশাতেই দোল উৎসব। কবিগুরুর হাত ধরেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সূচনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসন্তের গানের সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠানে বদলে যায় দোলের সকাল। সব শেষে হয় সেই গান, রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও, যাও গো এবার যাওয়ার আগে…। নাচের তালে তালে আকাশে ওঠে ফাগুয়ার রং। নানা রঙের আবীরে দোল খেলায় মেতে ওঠেন শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক। দর্শকরাও নিজেদের মধ্যে আবীরের রঙে শুরু করেন দোল খেলা। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় রং। রঙিন মনে তখন শুধুই খুশির ফোয়ারা। প্রসঙ্গত সকালের অনুষ্ঠানের পর দিনভর রঙ খেলা। তারপর সন্ধেয় পরিবেশিত হয় সংগীত ভবনের ছাত্রছাত্রীদের নৃত্যনাট্য। সবমিলিয়ে শান্তিনিকেতনের দোল দেখার জন্য বাঙালি আজও ছুটে আসেন বোলপুরে। কাটিয়ে যান দোলের দিনটা।