দোলের দিন কি করলে উৎসব পরমানন্দে কাটবে, কি করলে জটিলতার সম্ভাবনা
প্রাণের উৎসবকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাই বাঞ্ছনীয়। আসুন জেনেনি, দোল ও হোলিকে শান্তিপূর্ণ ও সার্থক করে তুলতে আমাদের কি কি করা উচিত। আর কি কি বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল।
বসন্ত এসে গেছে। দোলের হাওয়া গায়ে মেখে রং খেলার আসরে কোমর বেঁধে নামার তর আর সইছে না। দোল বা হোলি, এই দুটো দিন রঙের উৎসব, আনন্দের উৎসব। প্রাণের উৎসবকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাই বাঞ্ছনীয়। আসুন জেনেনি, দোল ও হোলিকে শান্তিপূর্ণ ও সার্থক করে তুলতে আমাদের কি কি করা উচিত। আর কি কি বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল।
কি কি করবেন :
দোল বা হোলির দিন প্রথমে দেবমূর্তি, গুরুদেব বা মা-বাবার পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করুন, তারপর আবির বা জল রং নিয়ে মেতে উঠুন আপনজনদের সঙ্গে, দোলের প্রারম্ভে এই সহবত শিখিয়ে দিন বাড়ির ছোট সদস্যদের। ভেষজ রং বা আবির ব্যবহার করুন। পিচকারি দিয়ে রং দেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন, কারও চোখে যেন রং না যায়।
রং যে জলে গোলা হয়, সেই জল পরিস্কার হওয়া জরুরি। মুখে রং দেওয়ার সময় চোখে রং লাগার হাত থেকে এড়িয়ে চলুন। রং লাগানোর আগে ভাল করে সারা গায়ে বা মুখে ক্রিম মাখুন, এতে ত্বক ভালো থাকবে, আর রং তুলে ফেলতেও সুবিধা হবে। রং খেলার পর গায়ে চুলকানি বা অ্যালার্জি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রং তোলার পর অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। দোল খেলার সময় শালীনতা বজায় রেখে রং খেলুন।
দোলের সময় কি কি করবেন না :
কম দামি রং কিনতে গিয়ে রাসায়নিক ক্ষতিকারক রং বা আবির কিনবেন না। রং গোলার জন্য নোংরা অপরিচ্ছন্ন জল ব্যবহার করবেন না, এতে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। পশু-পাখির গায়ে কখনোই রং দেবেন না। কাদা বা ময়লাজাতীয় দ্রব্য রঙের বদলে ব্যবহার করবেন না। কাউকে জোর করে রং মাখানো উচিত নয়, অনিচ্ছুক হলে কখনই রং দেবেন না।
গতিশীল স্কুটার, বাইক বা গাড়িতে রং দেবেন না, এতে গাড়ির সৌন্দর্য যেমন নষ্ট নয়, তেমনি চালকেরও মনঃসংযোগ হারিয়ে বিপদ হতে পারে। রং কারও বাড়িতে ছুঁড়বেন না, শিশু বা বৃদ্ধকে রং মাখানোর সময় সাবধানে মাখাবেন। রং খেলার সময় মদ্যপান বা নেশা করবেন না, এতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়। রং তুলতে জোরে জোরে ত্বক ঘষবেন না। সংরক্ষিত পুকুর বা হ্রদে স্নান করে জলাশয়কে দূষিত করবেন না।