এ ২টি ছাড়া দোলের আনন্দ ছিল ফিকে
দোলের দিনের পুজোয় এগুলো আবশ্যিক। পারিবারিক রীতি মেনে এখনও দেবতার পাতে জায়গা করে নেয় এগুলি।
একটা সময় ছিল যখন দোলের পর মিষ্টিমুখ মানেই ছিল মঠ, ফুটকড়াই আর সঙ্গে সাদা মুড়কি। এখনও এগুলো কিছু কিছু পরিবারে পুজো দেওয়া হয়। দোলের দিনের পুজোয় এগুলো আবশ্যিক। পারিবারিক রীতি মেনে এখনও দেবতার পাতে জায়গা করে নেয় এগুলি। গোলাপি, হলুদ, সাদা মূলত এই ৩ রঙে মেলে মঠ।
চিনির তৈরি অনেকটা টাওয়ারের মত দেখতে শক্ত মিষ্টি। একটা সময় ছিল যখন চুটিয়ে রঙ খেলার ফাঁকে ফাঁকে চলত এই মঠ মুখে চালান করা। থালায় প্রচুর মঠ সাজানো থাকত। পাশে থাকত ফুটকড়াই। কালচে ভাজা মটরের ওপর চিনির আস্তরণ। মুখে দিয়ে চিবলে কড়মড় করে আওয়াজ হত। এও ছিল দোল খেলার সময়ের মাস্ট, মাস্ট আইটেম। সঙ্গে সাদা মুড়কি। অর্থাৎ চিনির মুড়কি।
দোলের দিন পুজো হোক বা আনন্দ করে রঙ খেলা। সবেতেই এই ত্রয়ী মিষ্টির জায়গা ছিল পাকা। কিন্তু এখন নব্য প্রজন্মের অনেকে জানেনও না এগুলোর কথা। অথবা জানলেও এসব খাবেন না। কারণটা স্বাস্থ্য। এত চিনি খাওয়ার কোনও মানে আছে! হয়তো সত্যিই নেই। কিন্তু বছরের একটা দিনে এটাই ছিল এক সময়ের রীতি, আনন্দ। রঙ খেলার সঙ্গত।
এখন সেই মঠ, ফুটকড়াই, সাদা মুড়কি দেবতার প্রসাদ হয়ে কোনওক্রমে বেঁচে আছে। তাও ক্রমশ অনেক পরিবার থেকেই বিলুপ্তপ্রায়। দেখা যাক রঙয়ের উৎসবের সঙ্গে একসময়ের এই টুকটাক মিষ্টিমুখ কতদিন টিকে থাকার লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারে।