ভাঙ থেকে বিলিতি ব্র্যান্ড, বদলে গেল হোলির নেশা
দোল বা হোলির দিন রঙ খেলার সঙ্গে সঙ্গে ভাংয়ে চুমুক তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিরাচরিত রীতি।
হোলির রঙ আর সঙ্গে আলতো নেশা। রঙ খেলার দিনে এই হাল্কা নেশার একমাত্র মাধ্যম ছিল ভাং। ভাংয়ের সঙ্গে হোলির সম্পর্ক বহুদিনের। দোল বা হোলির দিন রঙ খেলার সঙ্গে সঙ্গে ভাংয়ে চুমুক তো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিরাচরিত রীতি। রঙ খেলতে খেলতে ভাংয়ে চুমুক দেওয়ার জন্য বড়দের অনুমতি লাগত না। কারণ বড়রাই তো দোলের দিন ছোট হয়ে যান। মেতে ওঠেন রঙের আনন্দে। ছোটদের মত। তাই অনেক পরিবারে একসঙ্গে সকলে রঙ খেলার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি থাকত ভাং। বেশ তরিবত করে বানানো হত সেই ভাং।
রঙ খেলতে খেলতে সেই ভাং মাঝেমধ্যে গলায় ঢালতেন সকলেই। সে ছোট হোক বা বড়। এই নেশার জন্য এদিন বড়দের আড়াল করার দরকার পড়তনা। কিন্তু এখন বোধহয় পড়ে। কারণ ভাংয়ের নেশা এখন পরিবারে পরিবারে লুপ্তপ্রায়। সেখানে দাপিয়ে জায়গা করে নিয়েছে মদ্যপান।
সামর্থ্য অনুযায়ী নামীদামী ব্র্যান্ড। হোলিতে রঙয়ের খেলা চুটিয়ে খেলতে ভাংয়ের আলতো নেশা অনুঘটকের কাজ করত। এখন দিন বদলেছে। এখন সকাল সকাল অল্প করে আবির বা রঙ লাগিয়ে অনেকের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কখন মদের আসরে জমে ওঠা যায়। ওটাই লক্ষ্য। রঙ তো উপলক্ষ মাত্র। এখনও অবশ্য কিছু কিছু জায়গায় ঠান্ডাইয়ের চল আছে। তবে তা মদের দাপটে তেমন থাবা বসাতে পারছেনা। এটাই এখন দোলের দিনের আসল নেশা। ভাং-টাং তো ব্যাকডেটেড!