প্রেমের স্পর্শ। এটুকু চাহিদা তো যুগ যুগ ধরে প্রেমিক প্রেমিকার চিরন্তন। কিন্তু প্রেমিকার হাতটুকু ধরতেও তো একটা সময় ছিল যখন চারপাশে কড়া নজর বুলিয়ে নিতে হত। আশপাশে কেউ নেই তো? যেন কোন এক মহাঅপরাধ করার আগে প্রত্যক্ষদর্শী না থেকে যায় সেটা নিশ্চিত করা আর কি! এখন অবস্থাটা বদলেছে। এখন হাতটাত ধরা নেহাতই মামুলি বিষয়। কিন্তু তবুও সকলের মাঝে দুজনে একটু ঘনিষ্ঠ হতে তো একটা অছিলা লাগে। আর সেই অছিলাটুকু যুগ যুগ ধরে নিশ্চিত করে এসেছে দোল বা হোলি।
হোলি মানেই তো বডি কন্টাক্ট গেম! না ছুঁয়ে কী রঙ লাগানো যায়? তাই প্রেমের পরশে প্রেমিক প্রেমিকার একে অপরকে রাঙিয়ে তোলার পাশাপাশি এই দিনটা সকলের মাঝেই ঘনিষ্ঠ হওয়ার একটা দুর্দান্ত লাইসেন্স। রঙ মাখাতে গিয়ে গায়ে হাত। কী করা যাবে! যুক্তিটা এমন হলেও তার মাঝেই একটু কাছে আসা, একটু ছুঁয়ে যাওয়া। এই পাওনাটাই বা কম কিসের! আর সেই পাওনাটুকু দোলের দিন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত বছরের পর বছর ধরে উপভোগ করেছেন প্রেমিক প্রেমিকারা। আর শুধু তাই বা বলি কেন! এমনকি বিবাহিত জীবনেও একেবারে ছেলেমেয়ের সামনেও একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার অছিলাটা স্পর্শসুখটুকু সত্যিই কি ফেলে দেওয়া যায়। কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আর দোলের দিন পুরনো প্রেম? সেটাও তো…!