জয়পুরের খাসা কোঠি হোটেল। তারই সুবিশাল প্রাঙ্গণে প্রতি বছরের মত এবারও হোলির বন্দোবস্ত করেছিল রাজস্থান ট্যুরিজম। সে তো অনেক হোটেলেই হোলি হয়। তাহলে এখানে আলাদাটা কী? আলাদাটা হল এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষের আগমন। এখানে হোলির সকাল থেকেই আকাশে উড়েছে ফাগ। রঙিন হয়েছে বাতাস। চেহারা ঢেকে গেছে রঙে। আর সেই রঙ ঢাকা খুশিতে সামিল হয়েছিলেন অগণিত বিদেশি।
চিন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি কোন দেশ নেই। হোলি খেলতে সেই সুদূর থেকে পাড়ি দিয়ে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন এখানে। সকাল থেকেই সময় নষ্ট না করে নেমে পড়েছিলেন রঙের উৎসবে। লাল, নীল, বেগুনি, গেরুয়া, সবুজ, হলুদ সব রঙেই নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। একে অপরকে মাখিয়ে দিয়েছেন রং। চিৎকার করে উঠেছেন ‘হ্যাপি হোলি’ কলরবে। তাঁদের মুখ থেকে কোনও সময়ে হাসি হারায়নি। তাঁরা যে ভারতীয় এই উৎসবে সামিল হয়ে কতটা খুশি তা তাঁদের শরীরী ভাষা থেকেই ছিল স্পষ্ট। তাঁদের সঙ্গে এদিন খাসা কোঠিতে হোলি খেলায় সামিল হন ভারতীয়রাও। দুপুর পর্যন্ত হুল্লোড় করেও এদিন বিদেশিদের আনন্দ যেন ফুরতেই চায়না। হোলি খেলা ছেড়ে রণে ভঙ্গ দিতে যেন কিছুতেই মন চাইছিলনা তাঁদের।