বসন্ত এসে গেছে অনেক দিন। এখন চৈত্র। আর বসন্ত মানেই দোল। রঙের উৎসব। প্রতি বছরের মতই তাই দোলের আগে জমে উঠেছে রঙের বাজার। এবার নজর কাড়ছে নানা রকমের মুখোশ। এত মুখোশের রমরমা আগে বড় একটা চোখে পড়েনি শহরবাসীর। সঙ্গে রয়েছে নানা রঙের আবির। আগে ছিল লাল, গোলাপি আর সবুজ আবির। সেই প্রবণতা বদলেছে। এখন প্রায় সব রঙের আবিরই চুটিয়ে মাত করছে বাজার। রঙের সঙ্গে তাই আবির বিকোচ্ছে হুহু করে। নানা রঙের আবির সব বয়সের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।
নানা রঙের আবিরে আবার ছোঁয়া লেগেছে রাজনীতিরও। সামনে ভোট তাই লাল, গেরুয়া, হাল্কা সবুজ, গাঢ় সবুজ কোন আবির সবচেয়ে বেশি বাজার কাড়ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে কিন্তু এগিয়ে রয়েছে সবুজ আবির। হাল্কা বা গাঢ়, সবুজ আবির বিকোচ্ছে খুব। লাল, গোলাপি, গেরুয়া, নীল, হলুদ, আকাশি এমন নানা রঙের আবিরও পাল্লা দিচ্ছে। তবে এবার মুখোশে বৈচিত্র্য নজর কাড়া। সঙ্গে রয়েছে পুরনো চকচকে রঙের টুপি। নানা রঙের জটা। এমনকি ফোমও বিকচ্ছে বেজায়।
পিচকারিতে এখন আবার বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। আগেকার বন্দুক পিচকারি বা পুশ পিচকারি যেমন রয়েছে। তেমনই বাজারে থাবা বসিয়েছে চিনা পিচকারি। দামও ভালই। ৫০০, ১০০০ টাকার পিচকারিও রয়েছে। আবার ২৫০, ৩০০, ৪০০ টাকার পিচকারিও রয়েছে। কচিকাঁচাদের মন ভোলানো সেসব পিচকারি নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই কিশোর মহলে। বাজার যেমন কিছুটা চড়া থাকে। মরসুমি বাজারের রীতি মেনে রঙের বাজারও ততটাই চড়া। তবে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। বাড়ির ছোটদের আবদার মিটিয়ে কিনছেনও। ফলে রঙের বাজারে কেনাকাটা বেশ ভালই জমে উঠেছে।