গোবর দিয়ে ঘুঁটে হয়। কিন্তু গোবর কাঠ বা গোবর উড ঠিক ঘুঁটে নয়। ঘুঁটে যেমন হাত দিয়ে তৈরি হয়, গোবর কাঠ তৈরি হয় মেশিনে। তবে কাঁচামাল একটাই। গরুর গোবর। ঘুঁটে যেমন গোল আকারের হয়। গোবর উড হয় একটু লম্বাটে। এক ঝলক দেখলে মনে হবে কাঠ। এবার তাজের শহরে প্রচলিত কাঠের টুকরোর পরিবর্তে হোলিকা দহন ও হোলিতে অন্যান্য পুজোর হোমে ব্যবহার হচ্ছে এই গোবর উড। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। কাঠ পুড়লে যত ধোঁয়া তৈরি হয়। গোবর উড পুড়লে তার চেয়ে অনেক কম ধোঁয়া তৈরি হয়। আর যেটুকু ধোঁয়া তৈরি হয় তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়।
আগ্রার সত্যমেব ট্রাস্ট এই উদ্যোগ নেয় আগেই। তারা ৩টি মেশিন নিয়ে আসে। যা দিয়ে গোবর কাঠ তৈরি হবে। এই কাজে নিযুক্ত করা হয় জেলা সংশোধনাগারের কয়েদীদের। ওই সংশোধনাগারে ১৮০টি গরু রয়েছে। ফলে কাঁচামালের একটুকুও সমস্যা নেই। সর্বক্ষণ কাঁচামালের যোগান রয়েছে যথেষ্ট। মেশিনে এটি তৈরি করতেও বেশি সময় লাগে না। ফলে দ্রুত উৎপাদনও হচ্ছে। দামও রাখা হয়েছে সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই। বরং কাঠের দামই বেশি পড়ে যাবে।
কেমন দাম এই গোবর কাঠের? ৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই গোবর কাঠ। ৫০ কেজির বস্তায় বাজারে আনা হচ্ছে এগুলি। হোম থেকে হোলিকা দহন, এমনকি প্রাত্যহিক পুজোতেও এই গোবর কাঠের ব্যবহার সস্তাই হচ্ছে। এরফলে গ্রিন গ্যাসও পরিবেশকে রক্ষা করছে। কাঠও বাঁচছে। আবার মানুষের পকেটও খসছে কম। এবার হোলিতে তাই হোলিকা দহনের জন্য আগ্রার একমাত্র পছন্দ হচ্ছে গোবর কাঠ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা