সামনেই ভোট। তাই রঙের উৎসবকে সামনে রেখে এক ঢিলে দু’পাখি মারার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না প্রার্থীরা। রং খেলাকে রং খেলাও হল, সঙ্গে উপরি পাওনা জনসংযোগ। ফলে দোলের দিন সকাল থেকেই নিজের নিজের এলাকায় রং খেলে ভোট প্রচারে দেখা গেল বাম-ডান সব পক্ষকেই। সকালে নিজের এলাকায় রঙে-আবিরে মেতে উঠতে দেখা যায় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিজে তো মাখলেনই, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহমকেও আবির মাখালেন প্রাণভরে।
টলিউড হিরো সোহমের এদিন শরীর খারাপ ছিল। কিন্তু সকলকে না করতে পারলেও শোভনের ডাকে আর না করতে পারেননি তিনি। দোলের সকালে জ্বর নিয়েই আবির মাখতে হল তাঁকে।
এদিকে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কেও এদিন দেখা গেছে প্রচারে রঙের ছোঁয়া দিতে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বললেন, প্রচার করলেন আর তাঁদের ভরিয়ে দিলেন রঙিন স্পর্শে। রূপাকে সামনে পেয়ে মানুষজনও বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁকে রঙিন করতে ছাড়েননি।
এদিন রং খেলতে খেলতেই প্রচার করতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী অবশ্য দিনটা বাড়ির লোকজনের সঙ্গেই দোল খেলে কাটিয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে রঙে মাততে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়কেও। কাঁচড়াপাড়ায় ছেলের সঙ্গে রঙের খেলায় মেতে ওঠেন তিনি।
সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষকেও রথ দেখা কলা বেচার মত রং খেলা আর ভোট প্রচার সারতে দেখা যায় এদিন। দোলের দিন প্রচারে বেরিয়ে ঢোলের তালে কোমর দেলাতে দেখা যায় মালদার তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকেও।
দোলে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্যও এদিন চোখে পড়েছে অনেক জায়গায়। একই কেন্দ্রে দুই যুযুধান প্রার্থীকে দোলের সকালে একে অপরকে রঙে ভরিয়ে দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে এদিন।