সারা বছর তাঁদের রাজনীতির রং নিয়েই কাটে। অন্যের রং তাঁর রং নয়। কিন্তু দোলের সকালে সে সব বন্ধন মুছে গেল। এদিন সব রঙেই মেতে উঠলেন রাজনীতিবিদরা। তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম নেতারা এদিন সকাল থেকেই রঙ খেলতে রাস্তায়। সামনে পুরভোট কী কোথাও মাথার মধ্যে কাজ করছে?
রাজনীতিবিদরা তা স্বীকার না করলেও পুরভোটের আগে রঙের উৎসবকে ঠিক ঠাক কাজে লাগালেন তাঁরা। সেইসঙ্গে আশ মিটিয়ে খেললেন রংও। সোমবার দোলের দিন সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতি বছরই তিনি দোল খেলেন। এবারও খেললেন। যেন একদম রুটিন মেনে। পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিলেন।
ক্রমশ তাঁর শরীর জুড়ে রঙের পরতের ওপর অন্য রং পড়ল। লাল, নীল, গোলাপি, সবুজ, হলুদ কোনও রংই বাদ গেল না। যত বেলা বাড়ল ততই রঙিন হয়ে উঠলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গলা ছেড়ে আনন্দে গানও গাইলেন। ২ হাত তুলে নাচলেনও।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এদিন নিজের নিজের কেন্দ্রে রং খেলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা যখন রাস্তায় নেমে দোল খেলছেন তখন পিছিয়ে ছিলেননা বিজেপি নেতারাও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন দোল খেলেন তাঁর কেন্দ্র মেদিনীপুরে। সেখানে তাঁকে রং মাখান অনেকে। এভাবেই দোলের দিনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রংয়ের খেলায় মেতে উঠলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।