সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে দোলের দিন এ রাজ্য রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠলেও ভারতের বাকি অংশে সাধারণ দিন। কারণ হোলি সাধারণত দোলের পরদিন অনুষ্ঠিত হয়। তিথির কারণে মাঝেমধ্যেই এক দিনে পড়ে হোলি ও দোল। এবার হোলি মঙ্গলবার। সোমবার ছিল দোল। দোলে সারা রাজ্য সোমবার রঙিন হয়েছে। সবাই রঙের খেলায় মেতে উঠেছেন। অন্যদিকে সোমবার সারাদিন কর্মময় দিন কাটানোর পর বাংলার বাইরের সব রাজ্যেই রংয়ের উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে ওঠে। আর হোলি মানেই হোলিকা দহন। যা সোমবার রাতে পালিত হল।
হোলিকা দহন মানেই অশুভকে জ্বালিয়ে শুভের উদযাপন। হোলিকাকে সাধারণত বাংলায় নেড়া পোড়া বলা হয়ে থাকে। হোলিকা সাজানো হয় বাঁশ, কাঠি, ঘুঁটে সহ অন্যান্য জ্বলনশীল বস্তু দিয়ে। যাতে আগুন দেওয়া হয়। আর তার চারপাশে ঘোরেন সাধারণ মানুষ। এ এক ধর্মীয় রীতিও বটে। তাই অনেক মহিলাকে পুজোর থালা হাতেও নজরে পড়ে।
হোলিকা দহনের মধ্যেই দিয়েই সূচনা হয় হোলি উৎসবের। মঙ্গলবার সেই হোলির আনন্দেই মেতে উঠবে গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গেও অবাঙালি মানুষজন এদিন সন্ধেয় হোলিকা দহন করে হোলি উৎসবের সূচনা করেন। বাঙালি যখন রঙের খেলা দোলে তাদের রং খেলার আনন্দ উপভোগ করে নিয়েছে, সেখানে মঙ্গলবার রংয়ের খেলায় মেতে উঠতে চলেছেন অবাঙালিরা। তার আগে সোমবার রাতে হোলিকা দহন হল পূর্ণ মর্যাদায়।