দোল হল, তবে চুরি গেল উচ্ছ্বাস
রাজ্যে দোলযাত্রা পালিত হল বটে। তবে তার স্বাভাবিক উল্লাসে ঘাটতি ছিল। অনেক জায়গায় রাস্তায় নেমেও দোল খেললেন অনেকে মিলে।
কলকাতা : সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও করোনা বেড়ে চলেছে। এরমধ্যেই দোল উৎসব পালন নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশের আপত্তি ছিল। কাছাকাছি এসে রং মাখামাখি থেকে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।
প্রশাসনের তরফেও দোলের আগে সকলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল সকলে যেন এবার দোলটা পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। রাস্তায় জমা হয়ে দোল খেলতে না করা হয়েছিল।
করোনা রুখতেই ছিল এই আবেদন। সেই আবেদনে কিছু মানুষ এদিন যেমন সাড়া দিলেন, তেমন কিছু ক্ষেত্রে তা নজরে পড়েনি।
কলকাতা সহ রাজ্যে দোলের সকাল থেকে যে রং নিয়ে মাতামাতি নজর কাড়ে তা এদিন সকাল থেকে নজরে পড়েনি। পাড়ায় পাড়ায় রঙ খেলার তোড়জোড়ও তেমন একটা ছিলনা।
কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পাড়াতেই শুরু হয় দোল খেলা। একে অপরকে পুরনো ছন্দেই চলে রং মাখানো। ফলে যে শারীরিক দূরত্বের কথা, স্পর্শ বাঁচানোর কথা বলে সতর্ক করা হয়েছিল, তা মানা হয়নি।
ভোট বড় বালাই। তাই এদিন সকাল থেকে নেতা নেত্রীদেরও দোল খেলতে দেখা যায়। একে রবিবার, তায় আবার দোল, জনসংযোগের এমন সুযোগ অনেক প্রার্থীই হাতছাড়া করতে চাননি।
সকাল থেকে রাজ চক্রবর্তী থেকে সুজন চক্রবর্তী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয় থেকে অতীন ঘোষ সহ অনেক নেতানেত্রীই রং খেলে প্রচারে অংশ নেন।
দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করেন। বিজেপির হয়ে প্রচারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মিঠুন চক্রবর্তী।
অভিনেতা, অভিনেত্রীরাও পিছিয়ে ছিলেন না। তবে তাঁদের রং খেলা কাটে বাড়িতেই। পরিবার বন্ধুদের সঙ্গে রঙয়ের খেলায় মাতেন অনেকে।
এদিকে পাড়ায় পাড়ায় কচিকাঁচাদের উৎসাহ ছিল আগের মতই। এবার অনেকের বাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে রং খেলতে দেওয়া হয়নি ছোটদের। তবে ছোটদের মন যাতে না ভেঙে যায় তাই পরিবারের সকলে মিলে তার সঙ্গে বাড়িতেই রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন। ছিল রং মেখে সেলফি তুলে পাঠানোর হিড়িকও। তবে করোনা দোলের স্বাভাবিক উল্লাসের ছন্দ যে কেটেছে তা এদিন স্পষ্ট।