২ বছর পর দোল হোলির জোড়া খুশিতে হারানো রঙয়ের পরশ
গত ২ বছর ধরে রঙ খেলার উৎসব দেশজুড়েই নমো নমো করে পালিত হয়েছে। তবে এবার সে আতঙ্কের তোয়াক্কা না করেই খোঁজ মিলল হারানো রঙয়ের।
বয়ে আসা বসন্তের বাতাসে এখন আবহাওয়ার উষ্ণ ছোঁয়া। তিথি মেনে রঙয়ের উৎসব এবার একটু দেরিতেই জাগ্রত দ্বারে। ২ বছর ধরে রঙয়ের আনন্দকে বন্ধ দরজার ওপারেই রেখে দিয়েছিলেন অধিকাংশ দেশবাসী। খেলা যদি হয়েছিল তো তা নিয়ন্ত্রিত। কেউ কেউ নমো নমো করে রঙ খেলেছিলেন। এবার সেই ২ বছরের না পাওয়াকে সুদে আসলে পুষিয়ে নিলেন সকলে।
সাধারণ বাংলায় যেদিন দোল, তার পরদিন সারা দেশে পালিত হয় হোলি। এবার কিন্তু দোল আর হোলি একই দিনে পড়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশজুড়েই এদিন পালিত হয় রঙয়ের উৎসব।
গত ২ বছরে না দেখা গেলেও এবার ওড়িশা বাদে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই পাড়ায় পাড়ায় রঙ খেলা হয়েছে চুটিয়ে। ওড়িশায় রাস্তায় হোলি খেলা নিষিদ্ধ ছিল। এছাড়া হোলি পার্টি, আবাসনের হোলি, নাচ, গান, ডিজে, খাওয়াদাওয়া সবই চুটিয়ে হয়েছে এদিন।
ছোট থেকে বড় সকলেই মেতে ওঠেন রঙয়ের উৎসবে। বেলার দিকে এমন পরিস্থিতি হয় যে কয়েকটি হোলি পার্টিতে রঙ ফুরিয়ে যায়। ফলে জলই ছিল ভরসা। তবে আনন্দ থামেনি।
বেলা গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত চলেছে রঙ খেলা, আনন্দ, হৈচৈ। এ যেন গত ২ বছরের না পাওয়াকে নিংড়ে উপভোগ করে নেওয়ার চেষ্টা।
এদিন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে বসন্তোৎসব না হলেও ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মত করে একটি বসন্তোৎসবে শামিল হন। রাজ্যে এদিন রঙয়ের উৎসবে শামিল হন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে মন্ত্রী সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও এদিন মেতে ওঠেন আনন্দে। সব মিলিয়ে এদিন ভারতের আকাশ রঙয়ে রঙয়ে একাকার।