ব্রজভূমির হোলিতে এবার ঢালাও নতুনত্ব, আরও গাঢ় হচ্ছে রং
ভারতে হোলি এক অন্যতম উৎসব। রংয়ের উৎসব সারা দেশেই পালিত হয়। তবে ব্রজভূমির হোলিকে আলাদা করে উল্লেখ করা যায়। সেখানেই অন্য হোলির অপেক্ষা।
রংয়ের উৎসব হোলি কার্যত দরজায় কড়া নাড়ছে। মার্চ মাস মানেই ভারত মেতে ওঠে রংয়ের উৎসবে। বাংলায় যা দোল, সারা দেশে তাই হোলি। হোলির সঙ্গে আবার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। সেই শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে ব্রজভূমির নাম।
যেখানে শ্রীকৃষ্ণের শৈশব ও কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে। মথুরা, বৃন্দাবন, গোবর্ধন, গোকুল, নন্দগাঁও এবং বরসানা, এই নিয়ে ব্রজভূমি। এক পুণ্য ক্ষেত্রে।
এই পুণ্য ক্ষেত্রে হোলি বা রঙ্গোৎসবের জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন অনেকে। স্থানীয়রা তো বটেই, এমনকি দেশি, বিদেশি পর্যটকরাও মুখিয়ে থাকেন হোলির সময় ব্রজভূমির হোলি দেখার জন্য।
ব্রজভূমিতে হোলির এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় হোলি পালন। এবার সেই হোলি পালন হতে চলেছে আরও নতুন আঙ্গিকে। আরও নানা সুবিধা সঙ্গে নিয়ে।
উত্তরপ্রদেশ ব্রজ তীর্থ বিকাশ পরিষদ ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিভাগ মিলে হাতে হাত মিলিয়ে এবার মথুরায় প্রধানত পর্যটকদের আকর্ষিত করতে নানা আয়োজন শুরু করেছে।
ব্রজভূমির হোলি দেখতে আসা দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ অভিজ্ঞতাকে অনন্য রূপ দিতে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটকদের যাবতীয় সুবিধার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয় তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
শ্রীকৃষ্ণের জীবনের নানা কাহিনি তুলে ধরা থেকে শুরু করে এখানকার হোলির নানা রূপ ও রীতি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হবে। যাতে এখানে হোলি দেখতে আসার পর তাঁদের এতটাই সুন্দর অভিজ্ঞতা হয় যে সারা জীবন তা মনে থেকে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা