কাঁকড়াবিছের সঙ্গে রং খেলেন এখানকার বাসিন্দারা
রং খেলা মানে তো একে অপরকে রঙিন করে তোলা। তার সঙ্গে কাঁকড়াবিছের সম্পর্ক কি যদি কারও মনে হয় তাহলে তাঁকে পৌঁছে যেতে এই জায়গায়।
বাংলার দোলের মতই দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই রং খেলা ধুমধাম করে পালিত হয়। উত্তর ভারতে দোলের প্রভাব তুলনায় বেশি। রং খেলা এখানে অনেক জায়গায় কয়েকদিন আগেই শুরু হয়। আর রং খেলার দিন তো সেখানে রংই রং। মানুষ রংয়ে মাখামাখি হয়ে রঙিন হয়ে ওঠেন।
উত্তরপ্রদেশেও রং খেলা হয় চুটিয়ে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সেখানে রংয়ের উৎসব হোলি পালিত হয় নানা রীতি মেনে। ইটাওয়ার সৌন্থানা নামে জায়গাতেও রং দিয়ে হোলি খেলার পাশাপাশি এক বিশেষ রীতি প্রচলিত। সেখানে আবার কেবল রং খেলার মধ্যেই সীমিত নয় এই উৎসব। এ উৎসবে শামিল হয় কাঁকড়াবিছেরাও।
এখানে একটি উঁচু জায়গা রয়েছে যাকে স্থানীয়রা ডাকেন ভৌনসান দেবী টিলা বলে। সেখানে সকলে একত্র হয়ে এক বিশেষ ধরনের গানে মেতে ওঠেন। যে গানকে বলা হয় ফাগ।
লোকগীতি হলেও এই গান বিশেষ করে গাওয়া হয় এই রংয়ের উৎসবের সময়। এই গানে মেতে ওঠার পাশাপাশি এই টিলার পাথরের আনাচেকানাচে অনেক কাঁকড়াবিছে পাওয়া যায়।
বিষাক্ত সেসব কাঁকড়াবিছেদের ধরতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তারপর সেই কাঁকড়াবিছে নিজেদের গায়ে নিজেরাই ছেড়ে দেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই প্রথা আপাত দৃষ্টিতে ভয়ংকর।
তবে স্থানীয়রা মনে করেন দেবীর কৃপায় তাঁদের কোনও ক্ষতি করবেনা এই কাঁকড়াবিছেরা। এভাবেই এখানকার মানুষ কিন্তু প্রতিবছর কাঁকড়াবিছের সঙ্গে রং খেলায় মেতে ওঠেন।