দোলখেলা এই জায়গায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলে, কোথায় হয় এমন দোলখেলা
রং খেলার মেজাজ, ধরন, রীতি, রেওয়াজ জায়গা বদলে গেলেই বদলে যায়। যেমন এখানে রং মাখামাখি হয় ঠিকই, তবে শুধুই স্বাস্থ্যকর রং।
হলুদ রংয়ের দোল। জলে গোলা রংই ব্যবহার হয়। তাই ঢেলে দেওয়া হয় মানুষের গায়ে। হলুদ হয়ে ওঠেন তাঁরা। আর এভাবেই তাঁরা রং খেলায় মেতে ওঠেন। এখানে কেউ চাইলেও অন্য কোনও রং ব্যবহার করতে পারবেননা। তা কার্যত নিষিদ্ধ।
লিখিত নয়, প্রথাগতভাবে এটাই হয়ে আসছে। এখানে ২ দিন ধরে এই রংয়ের উৎসব পালিত হয়। তবে প্রথম দিনে এই হলুদ রং নিয়ে খেলা প্রায় হয়না বললেই চলে।
ওইদিন সবাই মন্দিরে যান পুজো দিতে, ঈশ্বরকে দর্শন করতে। দ্বিতীয় দিন হয় চুটিয়ে হলুদ রংয়ে হোলি খেলা। কেন হলুদ রং তারও কারণ রয়েছে।
প্রথম দিন কেরালার কোচি শহরের গোসরিপুরম থিরুমা কোঙ্কণি মন্দিরে হাজির হন সকলে। এ মন্দিরে পুজো দেন তাঁরা। এখানে নিয়ম হল মন্দিরে সারাবছর যে হলুদ পুজো দেওয়া হয়, সেই হলুদ সংগ্রহ করে তা মিশিয়ে দেওয়া হয় জলে। জল হয়ে ওঠে হলুদ রংয়ের।
তারপর সেই জল দিয়ে হয় রং খেলা। সহজ কথায় হলুদের জলে এখানে রং খেলা হয়। যার নাম ‘মঞ্জুল কুলি’। এটাই কেরালার প্রসিদ্ধ রং খেলা।
তবে এখানে কোনও রাসায়নিক রং ব্যবহার হয়না। একেবারেই স্বাস্থ্যকর এই রং খেলায় কাঁচা হলুদ জলে মিশিয়ে খেলা হয়। অনেকের ধারনা দক্ষিণ ভারতে রং খেলার প্রচলন তেমন নেই। কিন্তু মঞ্জুল কুলি বেশ চুটিয়েই খেলা হয়। তবে রং একটাই, শুধুমাত্র হলুদ।