তাঁকে ঘিরে থাকে বেশ কয়েকজন বডিগার্ড। নিজেদের ছোট বাড়ি ছেড়ে লন্ডন শহরের কাছাকাছি মা-বাবাকে নিয়ে উঠে গেছেন তিনি। সেখানে তাঁর ৪ বেডরুমের ফ্ল্যাট। সে খরচ করার সামর্থ্য তাঁর রয়েছে। কারণ তিনি টিকটক স্টার। সাধারণত মজার ছলেই মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও অ্যাপে তাঁদের হাস্যকর কাণ্ড তুলে ধরেন। সেখানেই ভিডিও তোলেন এই তরুণীও। কিন্তু অন্যদের সঙ্গে তাঁর একটাই ফারাক। তাঁর টিকটক-এ এখন ১ কোটি ৬০ লক্ষ অনুরাগী। তাঁর ভিডিও ১৫ সেকেন্ডের বেশি হয়না। কিন্তু গত বছর থেকে তাঁর ভিডিও দেখা হয়েছে ৭৭.২ মিলিয়ন বার। অর্থাৎ ৭ কোটি ৭২ লক্ষ বার।
এই বিপুল জনপ্রিয়তা ব্রিটেনের ২৩ বছরের তরুণী হলি হর্ন-কে শুধু সুপারস্টার বানায়নি। তাঁকে মোটা অঙ্কের উপার্জনের বন্দোবস্তও করে দিয়েছে। এখন তিনি ৬ অঙ্কে উপার্জন করেন। ব্রিটেনের অনেকগুলি প্রথমসারির ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে। কেননা তাঁর ভিডিও এত মানুষ দেখেন যে তাঁর ভিডিওকে সামনে রেখে অনেক বিজ্ঞাপনের সুযোগ রয়েছে। মেয়ের এই বিপুল উপার্জনে বেজায় খুশি মা। ৪৫ বছরের ওই মহিলার মতে তিনি টিকটক বিষয়টা বিশেষ বোঝেন না। তবে মেয়ে মোটা অঙ্কে উপার্জন করছে এতেই তিনি খুশি।
হলির জনপ্রিয়তা এতটাই যে তিনি যে অনুষ্ঠানে হাজির হন সেখানেই প্রচুর ভিড় জমে যায়। তাঁকে অনুরাগীরা ছেঁকে ধরেন। ফলে তাঁর বডিগার্ড লাগছে এখন। হলির অনুরাগীদের বয়স বেশ চমকে দেওয়ার মত। তাঁর অধিকাংশ অনুরাগীর বয়স ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। আর তার মধ্যে ৮০ শতাংশই মেয়ে। ২০ শতাংশ ছেলে। কিশোরদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন হলি। সেইসঙ্গে মোটা উপার্জন, বিলাসবহুল জীবন, পরিবারকে আনন্দে রাখা, আর অসংখ্য অনুরাগীর ভালবাসা নিয়ে হলি বেজায় খুশি একজন মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা