মহিলার ব্যক্তিগত অঙ্গে আরশোলার বাসা, হতভম্ব চিকিৎসক
তাঁর ঘাম হচ্ছিল মাঝেমাঝেই। রাতে ঘুম হচ্ছিল না। একটা চরম অস্বস্তি হচ্ছিল এক মহিলার ব্যক্তিগত অঙ্গে। ভিতরের দিকে হওয়ায় কিছু দেখতেও পাচ্ছিলেন না। চিকিৎসক অবশ্য ভিতরে দেখে হতভম্ব।
কয়েকদিন ধরেই তাঁর একটা অস্বস্তি শুরু হয়েছিল। মনে হচ্ছিল তাঁর যোনির অভ্যন্তরে কিছু একটা তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে। অস্বস্তি ক্রমে চরমে পৌঁছয়। ঘাম হতে থাকে মাঝেমাঝেই। যোনিভাগের অভ্যন্তরে একটা কিছু খোঁচা মতন লাগছে বলে ক্রমে অনুভূতিটা বাড়তে থাকে।
প্রথমদিকে উপেক্ষা করলেও পরে সহ্য করতে না পেরে তিনি হাজির হন হাসপাতালে। সেখানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তাঁকে পরীক্ষা করেন। তারপর যে যন্ত্র দিয়ে কিছুটা জায়গা তৈরি করে চিকিৎসকেরা যোনির অভ্যন্তর পরীক্ষা করেন তা দিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকের নজরে পড়ে যোনির অনেকটা ভিতরে কিছু একটা আটকে আছে। তিনি অতি সন্তর্পণে সেটিকে বাইরে বার করার ব্যবস্থা করেন।
যেটি বাইরে বেরিয়ে আসে তা দেখে তিনিও হতবাক হয়ে যান। ওই চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা জীবনে এমন কাণ্ড দেখেননি। তিনি দেখেন যোনির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি আস্ত আরশোলা।
কীভাবে ওটা অত ভিতরে ঢুকল? তা অবশ্য অজানাই। কারণ ওই মহিলাও এ বিষয়ে কোনও আলোকপাত করতে পারেননি। তিনি বলেন ওই অংশে অস্বস্তি অনুভব করেছিলেন কেবল।
সাধারণভাবে মানুষের কানে অনেক পোকামাকড় ঢুকে পড়ে। যা সেখানে ঢুকে কষ্ট দেয়। চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে তাদের বার করে আনতে হয়।
কিন্তু যোনির অতটা ভিতরে একটি আরশোলা কীভাবে প্রবেশ করল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। তবে ওই মহিলা ভাল আছেন। কিছুদিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে হন্ডুরাসে।