বুধবার সকালে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল এশিয়ার ফাইনান্সিয়াল হাব হংকং। গোটা শহরটাই সকাল থেকে গৃহবন্দি। অবশ্যই স্বেচ্ছায় এবং আতঙ্কে। প্রকৃতির রোষ বলে কথা! আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ছিলই। সেইমত বুধবার সকালে হংকংয়ের ওপর আছড়ে পড়ে টাইফুন ‘হাতো’। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ১০-এর এই ঝড় আছড়ে পড়ার পর নিজের ভয়ংকর মূর্তি দেখাতে শুরু করে। ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিতে আছড়ে পড়া হাতো বয়ে নিয়ে আসে জলোচ্ছ্বাস। যা এদিন হংকংয়ের নিচু এলাকাগুলোর সলিলসমাধি করে ছেড়েছে। শহরের অন্যান্য জায়গাতেও জল জমে গেছে।
ঝড়ের জেরে শহরের সিংহভাগ বিদ্যুৎশূন্য। প্রবল ঝড় আর সমুদ্রের দানবীয় ঢেউ মিলে ক্রমশ অবস্থা জটিল করে তোলে। বন্ধ করা হয় স্কুল। বন্ধ করা হয় হংকং-এর বিখ্যাত ফাইনানসিয়াল মার্কেট। অধিকাংশ অফিসই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আকাশচুম্বী অট্টালিকার উপরের তলা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল আগেই।
এদিকে হংকং জুড়ে অগুন্তি গাছ উপড়ে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে হংকংয়ের বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া বন্দর। হংকংয়ের সমুদ্র সৈকতগুলিও ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে। সব মিলিয়ে হাতোর হানায় দিশেহারা হংকং। ঝড়ের দাপট কমলে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু হবে। তখন আরও পরিস্কার হবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। আপাতত প্রাণ হাতে করে ঘরের কোণায় পরিবার নিয়ে প্রকৃতির তাণ্ডব বন্ধের প্রতীক্ষায় গোটা হংকং শহর। অপেক্ষায় প্রশাসনও।