হিরোশিমা, নাগাসাকির আতঙ্ক ফিরে এল হংকংয়ে। মাটি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বোমা। এত বছর পরেও দিব্যি সক্রিয় সেই বোমা।
১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের মিলিত অক্ষশক্তিকে ঠেকাতে গড়ে ওঠে মিত্রশক্তি। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আমেরিকা ও তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন। জাপানকে সায়েস্তা করতে শক্তিশালী বোমা নিয়ে বোমারু বিমানে চড়ে পাড়ি দিয়েছিল মার্কিন বিমানবাহিনী। তারপর টার্গেটে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোঁড়া হয় বোমা। তার মধ্যে কয়েকটি বোমা ‘টার্গেট’-কে ধ্বংস করতে না পেরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল মাটিতে। গত শনিবার হংকং শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে উদ্ধার হল তেমনই একটি বোমা। নির্মাণকার্যের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে ধুলো লাগা বস্তু চোখে পড়ে শ্রমিকদের। ভালো করে নজর করতেই বোঝা যায়, বস্তুটি আর অন্য কিছু নয়, আস্ত একটা বোমা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন হংকং পুলিশকে। বোমা উদ্ধারের খবর চাউর হতেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে হংকংবাসীর। প্রায় ১০০০ পাউন্ড ওজনের বোমাটি ফেটে যাবে নাতো? যদি ফেটে যায় তবে কি পরিণতি হবে? সেই আশঙ্কায় বোমা উদ্ধারের স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় প্রায় ১৫০০ জন নাগরিককে। খুব সাবধানে মাটির গর্ভে ৭০ বছর পরেও সক্রিয় থাকা মার্কিন বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজে লেগে পড়েন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষজ্ঞের দল। রবিবার এএন-এম ৬৫ নামের বোমাটিকে শেষপর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করতে সফল হন তাঁরা।
লক্ষ্যভেদে অক্ষম মার্কিন বোমাটির ১০০০-২০০০ মিটার পরিধি পর্যন্ত ধ্বংসলীলা চালানোর ক্ষমতা ছিল। সত্যি সত্যি যদি এএন-এম ৬৫ তার লক্ষ্যপূরণে সফল হত তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তেন হংকংবাসী। সেদিক থেকে একটা বড়সড় ফাঁড়া কাটানো গিয়েছে বলে মনে করছে হংকং প্রশাসন।
(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক)