অনলাইন দুনিয়ার এই বাজারে এখন দেদার বিকোচ্ছে বিনামূল্যের ‘বিউটি টিপস’। চর্মরোগের সমস্যা হোক বা গায়ের রঙ নিয়ে খুঁতখুঁতানি! কুছ পরোয়া নেই। বিউটিশিয়ান, মেকআপ আর্টিস্টরা আছেন তো সমস্যা মেটানোর টিপস দেওয়ার জন্য। বিশ্বের ২৫ মিলিয়ন সৌন্দর্য পিয়াসী মানুষ তাই চোখ বন্ধ করে ভরসা রেখেছেন হুদা ক্যাটানের ওপর। মার্কিন সুন্দরী হুদা একজন পেশাদার মেকআপ শিল্পী। বিউটি টিপস নিয়ে নিয়মিত ব্লগ লেখেন তিনি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বককে ঝলমলে সজীব রাখতে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে হুদা ও তাঁর বিউটিশিয়ান টিমের পরামর্শের চাহিদা তুঙ্গে। সেকথা মাথায় রেখেই গত এপ্রিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্বকের ওপর একটি দীর্ঘ নিবন্ধ নিয়ে হাজির হন তিনি। মহিলাদের যোনির চামড়া কি করে সাদা করা যায়, কেনই বা মহিলাদের যোনি কালো বা তামাটে বর্ণের হয়, সেই নিয়ে নিবন্ধটিতে বিশদে আলোচনা করা হয়। যোনির চামড়ার রং সাদা করার বিভিন্ন টিপসও ছিল সেখানে। আর সেই নিবন্ধ ঘিরেই যত গণ্ডগোলের সূচনা।
তামাটে যোনির রঙ সাদা করার টিপসের মধ্যে বর্ণ বৈষম্যের গন্ধ পেয়েছেন হুদার অনুরাগীরা। আর তাতেই চটে লাল তাঁরা। মুহুর্তের মধ্যে রাশি রাশি সমালোচনা আছড়ে পড়ে তাঁর ব্লগে। নারীদের যোনির তামাটে রঙ প্রকৃতি সৃষ্ট। তার বিরুদ্ধে কখনও যাওয়া উচিত নয়। তাই যোনির স্বাভাবিক রঙ নিয়ে মহিলাদের সন্তুষ্ট থাকার ‘টিপস’ কেন হুদা দিলেন না? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন অনেকে। কয়েকজন তো বিরক্তির চোটে হুদার বিউটি টিপসের লিঙ্কটাই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। কেউ আবার হুদার ও তাঁর টিমের টিপসকে ‘বিরক্তিকর’, ‘ক্ষতিকারক’ বলে মন্তব্য করেন। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মত যোনি নিয়ে প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলেও সমালোচনা করেন অনেকে।
সমালোচকদের এই সমস্ত অভিযোগের প্রত্যুত্তরে হুদা অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, যোনির চামড়ার রং সাদা করার জন্য কাউকে জোরাজুরি করা হয়নি। যাঁদের ইচ্ছা হয় করবেন, যাঁদের ইচ্ছে না হয় করবেন না। যোনির রঙ নিয়ে ইন্টারনেটে ইদানিং বিভ্রান্তিকর খবর রটছে। সেই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই ধরণের নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্ষুব্ধ ভক্তদের রাগ কমাতে নরম সুরে এমনই সাফাই দিয়েছেন এই জনপ্রিয় মার্কিন মেকআপ আর্টিস্ট।