সাধারণত সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া দানব ঘূর্ণিঝড়গুলি স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে। তারপর এক সময়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ডোরিয়ান যে তাদের চেয়ে একদম আলাদা তা প্রমাণ হচ্ছে। বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে আছড়ে পড়ে ডোরিয়ান। ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা যে ঝড়ের গতি তা যে কতটা ভয়ংকর তা হয়তো অনুমান করাও কঠিন। এমন ঝড় কেউ বড় একটা দেখেছেন কী? সন্দেহ রয়েছে। ফলে বাহামা কার্যত তছনছ হয়ে গেছে। এলাকা পর এলাকা মাটিতে মিশে গেছে। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। কারণ যে ধ্বংসলীলা ডোরিয়ান দেখিয়েছে তা থেকে ফের স্বাভাবিক অবস্থায় বাহামা কবে ফিরবে সেটাই পরিস্কার নয়।
বাহামা দ্বীপপুঞ্জে এক ভয়ংকর তাণ্ডবের পর অনেকেরই ধারণা ছিল মার্কিনমুলুকমুখী ডোরিয়ান অনেকটাই শক্তি হারাবে। শক্তি প্রথমে হারিয়েও ছিল। কিন্তু ফ্লোরিডার দিকে ধাবমান হ্যারিকেন ডোরিয়ান এখন ফের নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে। তা শক্তি বাড়িয়ে ফের তাণ্ডব চালাতে এবার ছুটে চলেছে আমেরিকার দিকে। ফ্লোরিডা থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। ঝড় এলে কী করবেন আর কী করবেননা তা পরিস্কার করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসন মনে করছে ডোরিয়ান আছড়ে পড়াটা এতটাই ভয়ংকর হতে চলেছে যে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। এমনিতেই বাহামা দ্বীপপুঞ্জে যে ডোরিয়ান আছড়ে পড়েছে তেমন ঝড় ইতিহাসে আর কখনও হয়নি বলে জানাচ্ছে প্রশাসন। সেই ঝড়টাই এবার মুখ ঘুড়িয়ে আমেরিকার দিকে। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। ঝড়ের গতি প্রকৃতির দিকে কড়া নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা