বিরাট দাপটে পাকিস্তানকে হেলায় হারাল ভারত, হেরে ছিটকে গেল পাকিস্তান
বিরাট কোহলি ফর্মে। আর তার জেরেই পাকিস্তানকে কার্যত দাঁড়াতেই দিল না ভারত। ভারতের কাছে হেরে প্রতিযোগিতায় দৌড় শেষ হল পাকিস্তানের।

এদিন ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে জিততেই হত। অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকতে গেলে। কিন্তু ধারে ভারে অনেকটা এগিয়ে থাকা ভারতের সামনে খড়কুটোর মত উড়ে গেল পাকিস্তানের বোলিং থেকে ব্যাটিং।
ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে প্রথম ধাপ থেকেই বিদায় হল পাকিস্তানের। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের শেষ ম্যাচ কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। এদিন দুবাইয়ের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে বাবর আজম দিয়ে পাকিস্তানের উইকেট পতন শুরু হয়। যদিও মাঝে পাক অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান এবং সৌদ সাকিল জুটি তৈরির চেষ্টা করেন। সৌদ ৬২ রানের একটি ইনিংসও খেলেন। রিজওয়ান আউট হন ৪৬ রানে।
এরপর ফের উইকেট পতনের গতি বাড়ে। মাঝে খুরশিদ শাহ ৩৮ রানের একটা ইনিংস খেলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও বাকিদের দ্রুত উইকেট পতনে পাকিস্তানের রানের গতি অনেকটাই মন্থর হয়ে পড়ে।
৫০ ওভার শেষ হতে ২ বল বাকি থাকতে ২৪১ রান করে সব উইকেট হারায় পাকিস্তান। খুব বড় লক্ষ্য ধাওয়া করতে হবেনা ভারতকে। এটা পরিস্কার হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ব্যাট প্রথম থেকেই ঝোড়ো গতি নেয়। তবে ২০ রান করে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। এরপর শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি জুটি গড়ে ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
এদিন বিরাট কোহলিকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী লেগেছে প্রথম থেকে। শুরু থেকেই বিরাটের ব্যাটিং বলে দিচ্ছিল এদিন বিরাট বড় রানের লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছেন।
শুভমান ৪৬ রান করে ফেরার পর শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিরাট। এই ২ জনের জুটি কার্যত ভারতের জয়কে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। ৫৬ রান করে আউট হন শ্রেয়স।
হার্দিক নেমে অবশ্য এদিন মাত্র ৮ রান করেই আউট হয়ে যান। শেষে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে জয়ের রান তোলাটা বিরাটের জন্য ছিল সহজ কাজ। যদিও যে কাজটা শক্ত ছিল সেটা হল তাঁর নিজের শতরান।
কারণ ভারতের জয়ের জন্য তখন সামান্যই রান দরকার। সেই অবস্থায় বিরাটকেই অধিকাংশ রান করতে হবে। তবেই তিনি শতরান করতে সমর্থ হবেন। নাহলে তাঁর শতরানের আগেই খেলা শেষ হয়ে যাবে।
তাই ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও বিরাট শতরান করতে পারবেন কিনা সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। শেষে ২ রান বাকি থাকতে বিরাট একটি চার হাঁকান। আর তাতেই এক শটে ২টি সাফল্য পান তিনি।
এই চারের ফলে ভারত জিতে যায়। আবার এই শটে ৯৬ রানে থাকা বিরাট ১০০ রানও সম্পূর্ণ করতে সমর্থ হন। এদিনের জয়ের হাত ধরে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী ধাপে পৌঁছে গেল। আর আয়োজক দেশ পাকিস্তান এবারের মত ছিটকে গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে।