বারমিংহামের এজবাস্টনে ছিল ভারত বাংলাদেশ বিশ্বকাপের ম্যাচ। ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে ফাঁক পেলেই ক্যামেরা ঘুরে যাচ্ছিল তাঁর দিকে। পরনে সোয়েটার, শাল, গালে আঁকা ভারতীয় পতাকা, গলায় ঝোলানো ভারতের নাম লেখা উত্তরীয়, মুখে ভুভুজেলা। এক অশীতিপর বৃদ্ধা একটানা ভারতের সাফল্যে আনন্দ করছেন। ভুভুজেলা বাজাচ্ছেন। এক উচ্ছল তারুণ্য নিয়ে তিনি হৈহৈ করে গেলেন। বিরাটদের উৎসাহ দিয়ে গেলেন। ম্যাচের আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করলেন। তিনি চারুলতা প্যাটেল। যাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেও কেউ চিনতেন না। তিনি এখন ভারতের বহু মানুষের চেনা মুখ।
বাংলাদেশের সঙ্গে জয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে ছিল ভারতীয় দল। ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার খুশিটা তারিয়ে উপভোগ করছিল তারা। সেই সময় তাদের নজর পড়ে মাঠের কাছে নেমে আসা ৮৭ বছরের বৃদ্ধা চারুলতা প্যাটেলের ওপর। এগিয়ে যান বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। বিরাট হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন তাঁদের এই অশীতিপর ফ্যানের পাশে। কথা বলেন। বিরাটকে কাছে পেয়ে তাঁর মাথা জড়িয়ে তাঁকে চুম্বন করেন চারুলতা। স্নেহের চুম্বন পেয়ে খুশি বিরাটও। পাশে থেকে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায় সেই মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও।
একইভাবে এগিয়ে আসেন রোহিত শর্মাও। তাঁকেও জড়িয়ে ধরেন চারুলতা। বাংলাদেশ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা হন রোহিত শর্মা। এই মুহুর্তে টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীও তিনিও। সেই রোহিতকে হেসে কথা বলতে দেখা যায় চারুলতা প্যাটেলের সঙ্গে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ রোহিতকেও স্নেহের চুম্বন দিতে ভোলেননি এই বৃদ্ধা। পরে বিরাট ট্যুইট করেন, বয়স কেবলই একটা সংখ্যা। চারুলতা প্যাটেল তাঁদের একজন অত্যন্ত বড় ফ্যান। তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে আগে এগিয়ে যাবেন তাঁরা। ভারত কাপ হাতে তুলতে পারলে লর্ডসে সেদিনও মাঠে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়ে গেছেন এই পক্বকেশ ক্রিকেট পাগল বৃদ্ধা চারুলতা প্যাটেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা