খাতায় কলমে শক্তিশালী দল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে রয়েছেন ইমরান তাহির, এনগিডি, রাবাডা-র মত বিধ্বংসী বোলার। কিন্তু তার কিছুই কাজে এলনা। বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ও বোলিং ২ বিভাগেই গোহারান হারাল। টস জিতে ওভালের পিচে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেখানেই ব্যাটিংয়ে বাজিমাত করে দেয় বাংলাদেশ। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে নিজেদের জাত চিনিয়ে দেন ১১ জন বাঙালি। বুঝিয়ে দেন বিশ্বকাপে তাঁরা বিনাযুদ্ধে এতটুকুও জমি ছাড়তে আসেননি। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জেতে ২১ রানে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ শুরু করে সিংহ বিক্রমে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে বাঘের মত ব্যাটিং করলেন বাঙালিরা। সাকিব আল হাসান (৭৫) ও বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম (৭৮) কার্যত দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করেন। দাপটে ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার (৪২) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৪৬)। মাহমুদুল্লাহ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও তামিম ইকবাল (১৬), মোহাম্মদ মিঠুন (২১), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২৬) রানের ইনিংস খেলে দেন। পরপর বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপ ভাল রান দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ৫০ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩০ রান।
পাহাড় প্রমাণ স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম জুটি শুরু থেকে হিসেব কষে রান তুলতে থাকে। ডি কক ২৩ রান করে ও মার্করাম ৪৫ করে যখন ফেরেন তখন খেলার রাশ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিলার। ২ জনে ভাল রান তুলতে থাকেন। কিন্তু ডু প্লেসির আউট কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৬২ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হন ডু প্লেসি। এরপর মিলার ও ডুসেন রান তোলার চেষ্টা শুরু করেন। এঁরাও ভাল রান তুলছিলেন। কিন্তু ফের ছন্দপতন হয় ৩৮ রান করে মিলার ফেরার পর।
ডুসেন ও ডুমিনি এরপর রান তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশাল স্কোর তাড়া করার জন্য যে ধরণের মারকাটারি ব্যাটিং দরকার ছিল তা কারও হাত থেকেই দেখা যায়নি। ডুসেন ফেরেন ৪১ রানে। ডুমিনি নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৪৫ রান করলেও তা দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি। ফেলুকাও ৮ রানে ও মরিস ১০ রানে ফেরার ফল হয় মারাত্মক। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। রাবাডা (১৩) ও তাহির (১০) মিলে কিছু রান তোলার চেষ্টা করলেও তা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য যথেষ্ট ছিলনা। ৩০৯ রানে শেষ হয় ৫০ ওভার। দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩০৯ রান। ২১ রানে হারে তারা। ম্যাচের সেরা হন সাকিব আল হাসান। এদিন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাকিব, মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ছিল দেখার মতন।