সঠিক ঠিকানায় চিঠি পৌঁছল ঠিকই, তবে ৮০ বছর পর
ডাকঘর থেকে একটি সাধারণ চিঠির তার ঠিকানায় পৌঁছতে কিছুটা সময় তো লাগে। তা বলে ৮০ বছর? চিঠির বয়ান যাঁকে লেখা তিনি গত হলেও পরিবারের চোখে জল।
চিঠি লিখে কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দিন প্রায় শেষ হয়েছে। এখন যোগাযোগ এমন উচ্চতা ছুঁয়েছে যে গোটা পৃথিবী এখন একটা ছোট্ট দুনিয়ায় পরিণত হয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত কিন্তু ২টি মানুষের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম উপায় ছিল হাতেলেখা চিঠি। সাধারণ চিঠি পৌঁছতে একটু সময় লাগত ঠিকই। ডাক হরকরারা চিঠি পৌঁছে দিতেন বাড়িতে বাড়িতে।
আজও ডাক হরকরারা আছেন, তবে তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংস্থার চিঠি, অফিসিয়াল চিঠি বা কুরিয়ার করা চিঠি পৌঁছে দেন। ৮০ বছর আগে কিন্তু এমনটা ছিলনা।
তখন চিঠিই ছিল যোগাযোগের বড় ভরসা। ১৯৪৩ সালে এভাবেই একটি পোস্ট করা চিঠি চিঠিতে লেখা ঠিকানায় পৌঁছতে ৮০ বছর সময় লাগিয়ে দিল।
যে পোস্টঅফিসে সেটি পড়েছিল বছরের পর বছর সেই পোস্টঅফিসে হালেই সাফ সাফাই হয়। তখন সব চিঠিও খুঁজে তা খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তখনই ডাক হরকরাদের নজরে আসে এই চিঠিটি। যেটি ৮০ বছর আগে লেখা হয়েছিল।
তাঁরা ঠিকানা খুঁজে সেই গন্তব্যে হাজির হন। চিঠিটি তখন সেই পরিবারে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের হাতে তুলেও দেন। পরিবারের লোকজন তো ৮০ বছর আগে লেখা চিঠি হাতে পেয়ে যেমন আপ্লুত হন, তেমনই অবাক হন।
চিঠি খুলে তাঁরা দেখেন যাঁকে সেই চিঠি লেখা হয়েছিল তিনি গত হয়েছেন। তবে তাঁর মেয়েরা রয়েছেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চিঠিটি।
দেখা যায় যাঁকে লেখা হয়েছিল তাঁর এক সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। যিনি চিঠিতে শোক প্রকাশ করেছিলেন। যিনি গত হয়েছেন তাঁকে লেখা সেই চিঠি পড়ে আমেরিকার ইলিনয়ের বাসিন্দা ওই পরিবারে যাঁরা জীবিত রয়েছেন তাঁরা চোখের জল আটকাতে পারেননি।