পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর মঙ্গলবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যে বৈঠকে সেনা ও জননেতাদের উপস্থিতি ছিল। ছিলেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান ও পাকিস্তানের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে ভারতের দাবি কার্যত উড়িয়ে দেন ইমরান। ভারত জানিয়েছে তারা কেবল সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্পেই হামলা চালিয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ পাক প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান এদিন দাবি করেন, ভারতে এখন নির্বাচনী পরিবেশ কাজ করছে। আর সেখানে ফায়দা তুলতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিকে গম্ভীর সমস্যার মুখে দাঁড় করিয়েছে এই হামলা। দেশবাসী ও সেনাকে এদিন যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ দেন ইমরান খান। পাক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ইমরান এদিন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকেও ঘটনাস্থলে হাজির করতে চান। নিয়ে যেতে চান সেখানে যেখানে ভারত হামলা চালিয়েছে। দেখাতে চান আসল অবস্থা।
ইতিমধ্যেই ভারতের পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে উদ্যোগী পাকিস্তান। যদিও ভারত পরিস্কার করে দিয়েছে এদিনের হামলা কোনও সামরিক হামলা ছিলনা। এটা ছিল উচিত শাস্তি দিতে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা। এই হামলায় কোনও পাক আমজনতার সমস্যা হয়নি বলেও স্পষ্ট করেছে ভারত। তবে ভারতের দাবি মানতে নারাজ পাকিস্তান।
এদিনের বৈঠকের পর পাক সংসদে ভারতের হামলা নিয়ে একটি যৌথ অধিবেশন ডাকতে চলেছে সরকার। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এদিন তুলে ধরার চেষ্টা করেন যে ভারত হামলা করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। পাকিস্তানের যোগ্য জবাব দেওয়ার অধিকার আছে। তবে পাকিস্তান যাই বলুক না কেন, পুলওয়ামা হামলার যোগ্য জবাব দিতে ভারতের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কিন্তু তারিয়ে উপভোগ করছেন ভারতবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা