চাপে পড়ে ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতকে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার পাক সীমায় ঢুকে সেখানে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং বুধবার সকালে পাল্টা পাক যুদ্ধবিমান ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে সেগুলিকে তাড়া করে পাকিস্তানে পাঠানো এবং একটি পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে গুলি নামানোর পর এবার কী তাহলে চাপের মুখে আলোচনায় বসার কথা বলছেন ইমরান খান? প্রশ্ন উঠছে। কারণ পুলওয়ামা হামলার পরও কিন্তু পাক মাটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভারত বললেও তাতে কান দেননি পাক প্রধানমন্ত্রী।
এখন ভারত যখন সবদিক থেকে চেপে ধরেছে তখন কী সেই চাপ রাখতে না পেরেই ইমরানের এই আলোচনা বার্তা? এদিন ইমরান বলেন, যুদ্ধ লাগলে কারও লাভ নেই। এখন সময় এসেছে ‘শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার’। তাঁর দাবি, ভারতকে পুলওয়ামা হামলার পর তদন্তে সাহায্যই করতে চেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারের হামলা নিয়েও সুর নরম করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার পাক ভূখণ্ডে বোমা ফেলার পর দ্রুত কোনও অ্যাকশন না নিয়ে আগে ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে তা দেখার জন্য দেশের সেনাপ্রধানকে নির্দেশ দেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যে কিছুটা পাল্টা হুঁশিয়ারিও রেখেছেন ইমরান খান। এদিন তিনি বলেন, তাঁরা এদিন দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁদের ভূখণ্ডে যদি ভারত ঢুকতে পারে তাহলে তাঁরাও ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারেন। পাক সেনা ভারতের ২টি মিগ বিমানকে গুলি করে নামিয়েছে বলেও দাবি করেন ইমরান। এই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য, এখানে তাঁদের মাথাকে কাজে লাগানো উচিত। বোঝানোর সুরেই ইমরান বলেন, অস্ত্র ভারতের কাছেও আছে। অস্ত্র তাঁদের কাছেও আছে। কিন্তু কোনও অঙ্কে ভুল হচ্ছে না তো? কারণ যদি এই অস্ত্র প্রয়োগ শুরু হয় তবে তা না তো তাঁর হাতে থাকবে, না থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)