সামনেই নির্বাচন, বাড়ছিল জনপ্রিয়তা, তার আগেই কারাবন্দি ইমরান খান
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার কার্যত দেশের মানুষের বিরাগ ভাজন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইমরানের জনপ্রিয়তা ফের উর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় ইমরান খান গ্রেফতার।
ইমরান খান পাকিস্তান ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক স্তরে একটা জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। সেই ইমরান রাজনীতিতে পা দিয়ে জিতে ক্ষমতায় আসেন। প্রধানমন্ত্রী হন পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানের শাসনকে অন্য পথে পরিচালিত করেন। নিজের মত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করেন।
পরে ইমরান সরকার পড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও মুসলিম নওয়াজ জোট বাঁধে। সরকার গড়ে। কিন্তু সেই সরকার পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল বেহাল করেছে বলেই মনে করছেন পাকিস্তানের একটা বড় অংশের মানুষ। ফলে ইমরানের জনপ্রিয়তা ফের বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে সামনে ভোট। ইমরানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি অবশ্যই দেশের অন্য দলগুলির কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিল ইসলামাবাদের একটি আদালত। তাঁর দোষ তিনি বিদেশ থেকে পাওয়া কয়েকটি উপহার বিক্রি করেছেন। যার মধ্যে একটি বহুমূল্য ঘড়িও রয়েছে। যা তাঁকে সৌদি আরবের রাজা উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন।
এই সব উপহার দুবাইয়ে তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেছেন এই অভিযোগে ইমরান খানের সাজা হয়েছে। তাঁকে লাহোরের কোট লতপত কারাগারে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী ৭০ বছরের ইমরান খান এই সাজার পর ৩ বছর শুধু জেলেই কাটাবেন না, সেইসঙ্গে আগামী ৫ বছর ভোটেও লড়তে পারবেন না। ফলে জনপ্রিয়তা বাড়লেও এখন তাঁর দল কিছুটা হলেও সংকটের মুখে পড়ল। সবচেয়ে বড় কথা তেহরিক-ই-ইনসাফ-কে এবার ইমরানকে সামনে না রেখে অন্য কোনও মুখকে নির্বাচনে সামনে আনতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা