গত জানুয়ারিতে খবর রটেছিল নিজের ধর্মীয় গুরুর সাথে লুকিয়ে ঘর বেঁধে ফেলেছেন তিনি। যদিও সে কথা অস্বীকার করেছিলেন তাঁর মুখপাত্র। কিন্তু যা রটে তার অনেকটাই ঘটে। সেকথা নিজেই ফের প্রমাণ করে দিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক। সেবারে হয়তো সত্যি সত্যি পাত্রীর গ্রিন সিগনাল না পাওয়ায় বিয়েটা তিনি সারতে পারেননি। প্রায় দেড় মাস পর পাত্রী বুশরা মানেকার দিক থেকে আসে সেই সম্মতি। সেই সম্মতি তৃতীয়বারের জন্য বসন্তের দোলা এনে দিল ষাটোর্ধ ইমরান খানের জীবনে। মনের মানুষের সঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য ঘর বাঁধলেন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান।
প্রথমা জেমাইমা গোল্ডস্মিথ ও দ্বিতীয়া রেহাম খানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের স্মৃতি এখন অতীত। ৪০-এর মানেকাও পিছনে ফেলে এসেছেন তার বৈবাহিক জীবনের তিক্ততা। এবার শুরু নতুন করে পথচলা। তাঁদের সেই মধুর পথচলার আনুষ্ঠানিক বন্দোবস্ত হয় লাহোরে। গত রবিবার পাত্রীর ভাইয়ের বাড়িতে বসে বিবাহের আসর। সাদামাটা ঘরোয়া বিয়ের আনন্দ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন পাত্রপাত্রী ২ তরফের বাড়ির লোক। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই এদিন বিবাহডোরে বাঁধা পড়েন ইমরান ও বুশরা। বিয়ের আসরে বর ও কনেকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন ইমরান ঘনিষ্ঠ তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের কয়েকজন নেতা। অবশ্য পাত্রের দিদিকে ভাইয়ের জীবনে নতুন ইনিংস সূচনার দিনে তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে কি ইমরান খান ইচ্ছা করেই তৃতীয়বারের বিয়েতে এড়িয়ে গেলেন নিজের দিদিকে? নাকি দিদিই ইমরানের এই বয়সে ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্তে মত দিতে পারলেন না? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।