বুধবার নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় ভোটগণনা। আর শুরু থেকেই বড় ব্যবধানে অন্য দলগুলির চেয়ে এগিয়ে ছিল ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। এবার ইমরান খানের জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তেমনই ইঙ্গিত পরিস্কারও। গত বুধবার রাতে গণনা শুরুর পর থেকেই অর্ধেকের বেশি আসনে এগিয়ে ছিল ইমরান খানের দল পিটিআই।
বৃহস্পতিবার সকালে যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে পাকিস্তানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে পিটিআই-এর অবস্থান নিশ্চিত। ২৭২ আসনের পাকিস্তানে ইমরানের দল এগিয়ে ১১৯টি আসনে। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ১৩৭টি আসন। তা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে তারা। ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা আসছে না। আর এখানেই কিছুটা হলেও চিন্তায় ইমরান খানের পিটিআই। এক্ষেত্রে অন্য দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে জোট সরকার গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই নাকি তদ্বির শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ৬১ আসনে এগিয়ে থাকা জেলবন্দি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ এই নির্বাচনী ফলাফলকে মানছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ভোট চলাকালীন পাক সেনা বিভিন্ন বুথ থেকে তাঁদের দলের এজেন্টদের বার করে দিয়েছে। এদিকে বেনজির ভুট্টোর দল, যা তাঁর ছেলে বিলাবল ভুট্টো দ্বারা এখন পরিচালিত হচ্ছে, সেই পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে আছে ৪০টি আসনে। ৫০টি আসনে এগিয়ে অন্যান্যরা। এখন দেখার চূড়ান্ত ফল কী হয়? অন্যদিকে পাকিস্তান তো বটেই এমনকি গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে কোন সমীকরণে ইমরান খান পাকিস্তানে সরকার গঠনে সমর্থ হন সেদিকে।