কালীপুজো মানেই যেমন বাজি, বিশ্বকর্মা পুজো মানেই যেমন ঘুড়ি, ঠিক তেমনই স্বাধীনতা দিবসে নীল আকাশ রঙিন ঘুড়িতে মুখ ঢাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলায় স্বাধীনতা দিবসে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা নতুন নয়। যা আজও বর্তমান। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ ছেয়েছিল ঘুড়ির রঙে। বৃষ্টি থেমেছে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশে সোনালি রোদের খেলা। মাঝে মধ্যে পাতলা মেঘ মুখ ঢাকলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এমন একটা সোনালি দিনের সকালটা নষ্ট করেনি ঘুড়িবিলাসী বঙ্গবাসী। ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে ঘুড়ি ছিল নীল আকাশে বাড়তি পাওনা।
ছাদে ছাদে সকাল থেকেই গলা ফাটিয়ে চিৎকার ‘ভোকাট্টা’। পাশের ছাদে হয়তো তখন বিষাদের ছায়া। শুকনো মুখে চলেছে কাটা সুতো লাটাইতে গুটোনো। তারপর ফের নতুন করে লাগা। এবার মুখপোড়ায় কল পরিয়ে চিলেকোঠার ঘরে রাখা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, মানে সবচেয়ে দামি মাঞ্জাটা দিয়ে আকাশে পাখনা মেলে এই ছাদের চ্যালেঞ্জ। পাল্টে যায় হাসি। এবার অন্য ছাদে খুশির কলরব। এভাবে সকাল গড়িয়ে বেলা, বেলা গড়িয়ে বিকেল। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এখনও বাংলার ছাদে বেঁচে থাকে ঘরানা। স্বস্তি পায় সংস্কৃতি। যেন অলক্ষ্যে মুচকি হেসে বলে, চ্যালেঞ্জ রইল হোটাসঅ্যাপ, ফেসবুক। আকাশে ভেসে পড়ার এই খুশিটা কেড়ে দেখা দেখি। কত ক্ষমতা!