৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় পতাকা উত্তোলনের তোড়জোড়। সকালে লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছরের মতই এদিন লালকেল্লা প্রাঙ্গণে ছিল ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। তিরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা চত্বর। ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বন্দোবস্ত।
শুধু দিল্লি বলেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যেও এদিন পতাকা উত্তোলন হয়। পতাকা উত্তোলন হয়েছে স্কুল থেকে কলেজ, ক্লাব থেকে পাড়া সর্বত্র। এমনকি কলকাতা সহ দেশের অনেক বাড়ির ছাদেই শেষ শ্রাবণের সকালে পতপত করে উড়েছে তিরঙ্গা। অনেক জায়গায় এদিন ঘুড়ির সঙ্গে ডানা মেলে সদর্পে দেশের পতাকা পৌঁছে গেছে মেঘের আশপাশে।
এখন বর্ষা। দেশের অনেক প্রান্তেই বর্ষা হচ্ছে চুটিয়ে। প্রতিবার সেটাই হয়। তার মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস কিন্তু পালিত হয়েছে পূর্ণ মর্যাদায়। যেসব জায়গায় বন্যা হয়েছে সেসব দুর্গত এলাকায় হয়তো উন্মাদনা অনেকটা কম। এছাড়া কিন্তু স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে চিরাচরিত রীতি ও উন্মাদনার মধ্যে দিয়েই।
সকাল থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। পতাকা উত্তোলনের পর অনেক জায়গায় ছিল খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত। ছিল ঝলমলে অনুষ্ঠান। কোথাও কোথাও রক্তদান বা অন্য সেবামূলক কাজের বন্দোবস্ত হয়েছিল। কলকাতায় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে একেবারে অন্য সকাল দিয়ে শুরু করে একদম একটা অন্য দিন কাটাচ্ছেন আপামর বঙ্গবাসী। আপামর দেশবাসী।