রাতভর বৃষ্টি। সকালেও ভিজে একসা কলকাতা। এমন কাকভেজা স্বাধীনতা দিবসের সকালেও রেড রোডে স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রস্তুতিতে খামতি ছিলনা। সকালেই পৌঁছে গিয়েছিল বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ছিল পুলিশি বন্দোবস্ত। সাজগোজও সম্পূর্ণ। বেলা ১০টা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথা মেনে রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কলকাতা পুলিশের তরফে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। হয় জাতীয় সঙ্গীত। ভেজা সকালেও সব আয়োজন ছিল একদম নিয়ম মেনে।
রেড রোডের মঞ্চ থেকে পুলিশের জন্য ছিল পুরস্কার বিতরণ। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই পুরস্কার প্রদানের পর শুরু হয় কুচকাওয়াজ। পুলিশের পক্ষ থেকে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়। তারপর এক এক করে হাজির হয় বিভিন্ন বর্ণাঢ্য ট্যাবলো। জল বাঁচানোর বার্তা নিয়ে ট্যাবলো, কন্যাশ্রী ট্যাবলো, ক্রীড়া দফতরের ট্যাবলো। একের পর এক রাজ্য সরকারি দফতর ও উদ্যোগের সুসজ্জিত ট্যাবলো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।
ট্যাবলোর পর ছিল রাস্তায় ফুটবল খেলা। বাঙালির আদি অনন্ত ক্রীড়া ছিল ফুটবল। বাংলার মাঠেঘাটে গ্রামে গঞ্জে ফুটবল প্রেম ছিল চোখে পড়ার মতন। সেই ফুটবলের প্রতি আকর্ষণকেই এদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজে তুলে ধরে খুদেরা। ছিল রবীন্দ্র সংগীত সহ নানা সুরের সঙ্গে নাচ। মনে রাখার মত এক পথ অনুষ্ঠান। যেখানে বাংলার সংস্কৃতি উঠে এল রেড রোডের ওপর। সব শেষে ছিল কলকাতা পুলিশের টর্নেডো বিভাগের বাইকের ওপর দুর্ধর্ষ সব কসরত। রীতিমত চমকে দেওয়া কসরত উঠে আসে বৃষ্টির মধ্যেই। ব্যাল্যান্সের চোখ ধাঁধানো উপস্থাপনা।