স্বাধীনতা দিবসের সকালে লাদাখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র সিং ধোনি। জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত লাদাখে এবার ছিল প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন। ফলে উদ্দীপনাটা হয়তো একটু বেশিই ছিল। সেখানে এদিন পতাকা উত্তোলন করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত বুধবারই সেখানে পৌঁছন ধোনি।
লেহ-তে এদিন পতাকা উত্তোলন করেন লাদাখের সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল। ৩৪ বছরের এই তরুণ সাংসদ ইতিমধ্যেই ৩৭০ ধারার প্রত্যাহারের পর তাঁর মনোগ্রাহী বক্তব্য রাখার জন্য সংসদে সকলের নজর কেড়েছেন। তিনি এদিন লেহ-তে বিজেপি সদর দফতরে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনটাকে লাদাখের প্রথম স্বাধীনতা দিবস বলে চিহ্নিত করেন। নামগিয়ালের পরনে এদিন ছিল লাদাখের পুরুষদের সনাতনি পোশাক গোউচা। গাঢ় খয়েরি রঙের গোউচার সঙ্গে চোখে ছিল সানগ্লাস। এদিন পতাকা উত্তোলনের পর লাদাখের সাধারণ মানুষের সঙ্গে নাচেন নামগিয়াল। যে ভিডিও এখন ভাইরাল।
জম্মু কাশ্মীরেও এদিন স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে শান্তিতেই। ছিল কড়া প্রহরা। শ্রীনগরের রাস্তায় মাছি গলার যো ছিলনা। প্রতিটি মানুষকে পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র ছিল। যেখানে পতাকা উত্তোলন হয় সেই শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামের চারপাশেও ছিল কড়া নিরাপত্তা বলয়। পতাকা উত্তোলন করেন জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
পতাকা উত্তোলনের পর নিজের বক্তৃতায় রাজ্যপাল নিশ্চিন্ত করেন যে কোনও কাশ্মীরের বাসিন্দার ৩৭০ বিলোপে পরিচয় সমস্যা হবে না। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং গোটা এলাকার উন্নয়ন হবে আগামী দিনে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের একান্ত নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি এরফলে বিকশিত হবে বলেও দাবি করেন সত্যপাল মালিক। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা