প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছিল, যে দাপট প্রথম দুটি টেস্টে ভারত দেখাতে পেরেছে তৃতীয় টেস্টে সেটি হল না। বরং লড়াইয়ে ফিরেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেসব ব্যাখ্যা দ্বিতীয় দিনেই ইতিহাসে পরিণত করল ভারত। বরং গোটা দিন জুড়ে ব্যাটেবলে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল তারা।
প্রথম দিনে ৬ উইকেট হারানো ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন হার্দিক ও ঋদ্ধিমান। ঋদ্ধি এদিন তেমন কিছু করতে না পারলেও হার্দিক ছিলেন টি-২০ মেজাজে। টেস্টের তথাকথিত মেপে খেলার তত্ত্ব ফুঁৎকারে উড়িয়ে হার্দিক শুরু করেন আগুনে ব্যাটিং। আর সেই নির্ভীক ইনিংসের জোরে জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটাও করে ফেলেন তিনি। মাত্র ৯৬ বলে ১০৮ রান করে আউট হন হার্দিক। ৪৮৭ রান করে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে শুরু থেকেই নড়বড়ে লেগেছে। অধিনায়ক চন্ডিমলের ৪৮ রানের ইনিংস বাদ দিলে কার্যত গোটা শ্রীলঙ্কা টিমটাই ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মুখে নতিস্বীকার করে নেয়। ৩ জন ফেরেন শূন্য রানে। মাত্র ১৩ ওভার বল করে কুলদীপ যাদব এদিন ৪ উইকেট তুলে নেন। সামি ও অশ্বিন পান ২টি করে উইকেট। হার্দিক পাণ্ডিয়া ব্যাটিং পরাক্রমের পর এদিন বোলিং করতে এসে মাত্র ৬ ওভার বল করে ১ উইকেট তুলে নেন। মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার গোটা দল। ভারতের সামনে আসে বিপক্ষকে ফলোঅন করানোর সুযোগ। শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করানোরই সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি।
ফের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দিনের শেষে থারাঙ্গার উইকেট হারিয়ে ১৯ রান করে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে ঠেকা শ্রীলঙ্কা বাহিনী। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের জয় নিয়ে কোনও দ্বিধা রাখছেন না ক্রিকেট বোদ্ধারা। এখন দেখার খেলা তৃতীয় দিনেই শেষ হয়, নাকি চতুর্থ দিন পর্যন্ত গড়ায়।