ভালো শুরু করেও যে একটা দল এভাবে হুড়মুড়িয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে পারে তা রবিবার ডাম্বুলায় ভারত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ না দেখলে বোঝা যেত না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান, মাত্র ২৫ ওভার কাটিয়েছে ইনিংস। সেই জায়গা থেকে ২১৬-তে পাততাড়ি গুটিয়ে প্যাভিলিয়নে শ্রীলঙ্কা। একা কেদার যাবদের ঘূর্ণির পাকে পরে কুপোকাত লঙ্কা ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ নিরোশন ডিকওয়েলা ও ক্যাপ্টেন উপুল থরঙ্গা কেদারের মাত্র ৫ ওভারের স্পেল সামলাতেই হিমশিম খেয়ে ফেরত যান। বাকি ব্যাটিংকে একাই খেয়ে ফেলেন অক্ষর প্যাটেল। তবে ম্যাচে তখনও অনেক কিছু বাকি ছিল।
২১৬ রানও কম কিছু নয় বা এতটাও কম নয় যে ওয়াকওভার দেওয়া সুবিধের মনে হবে। কিন্তু ব্যাট হাতে ভারত প্রায় সেই জায়গাতেই পৌঁছে দিল পুরো শ্রীলঙ্কার বোলিংকে। এদিন যেন সংহার মূর্তিতেই নেমেছিলেন শিখর ধাওয়ান। প্রায় একা হাতেই শুইয়ে দিলেন বিপক্ষকে। মাত্র ৭১ বলে সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কারটাই শুধু জিতলেন না, গোটা শ্রীলঙ্কা টিমটাকে পুরো সিরিজের জন্যও যেন হীনমন্যতায় ভোগার বন্দোবস্তও করে দিলেন। তবে শুধু শিখর একা নন, এদিন ৮২ রান করে নট আউট থাকা বিরাট কোহলিও দুরন্ত ব্যাটিং করেন। তাঁর যোগ্য সঙ্গত শিখরের বিক্রমকে আরও মোহময় করে তুলেছে। এই যুগলবন্দিতে মাত্র ২৮.৫ ওভারেই লক্ষ্যমাত্রা টপকে যায় ভারত।
ভাইস ক্যাপ্টেন হিসাবে জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রোহিত শর্মাই যা এদিন ভাগ্যের চাকায় ঠোক্কর খেলেন। হাত থেকে ব্যাট খসে যাওয়ায় ও ক্রিজে ঢুকে যাওয়া সত্ত্বেও দুটি পা-ই শূন্যে থাকায় দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন রোহিত।