টেস্টে হোয়াইটওয়াশ তো করেইছিল। এবার ওয়ান ডে-তেও শ্রীলঙ্কাকে তাদেরই মাঠেই হোয়াইটওয়াশ করে দিল বিরাটের ভারত। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে এটা কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে রইল। অন্যদিকে ভারতের দিক থেকে বিদেশের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ান ডে-তে একই সফরে কোনও দেশকে এভাবে হোয়াইটওয়াশ করা রেকর্ড গড়ে দিল।
এদিন পঞ্চম তথা শেষ ওয়ান ডে-তেও বিনা লড়াইয়ে একতরফা খেলে জয় পকেটে পুরল ভারত। পুরো ম্যাচে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে বড় রান খাড়া করার একটা আপ্রাণ চেষ্টা চালান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থারাঙ্গা (৪৮), থিরিমানে (৬৭) এবং ম্যাথিউস (৫৫)। কিন্তু এঁরা প্যাভিলিয়নে ফিরতেই পরপর উইকেট পড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার। ১৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর ঝড়ের গতিতে পড়তে থাকে উইকেট। ফল হয় কম রানের লক্ষ্যস্থির করা। শ্রীলঙ্কা যেন এবার ঠিক করেই রেখেছে প্রথমে ব্যাট করলে ২৪০ রানের আশপাশে একটা রান তারা চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেবে। আর পরে ব্যাট করতে নেমে ভারত তা সহজেই তুলে দেবে। যে রীতির অন্যথা হলনা পঞ্চম তথা শেষে ওয়ান ডে-তেও।
ব্যাট করতে নেমে ভারতের রোহিত ও রাহানে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন বিরাট কোহলি, মণীশ পাণ্ডে। এঁদের যুগলবন্দিতে ১২৮ রান গড়ার পর মণীশ আউট হন। নামেন কেদার যাদব। তারপর আর উইকেট পড়েনি। বিরাট শতরান ও কেদার অর্ধশতরান করার পাশাপাশি দ্রুত জয়ের লক্ষ্যে ভারতকে পৌঁছে দেন। জেতার জন্য ২ রান বাকি থাকতে কেদার আউট হন। নামেন ধোনি। এরপর ২ রান করতে ২ মিনিটও নেয়নি ভারত।
এদিন বিরাট শতরান হাঁকালেও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন ৫ উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে ধস নামানো ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর শিরোপা গেছে শ্রীলঙ্কার সিরিবর্ধনে ও পুষ্পকুমারার ঝুলিতে। দ্রুততম অর্ধশতরানের পুরস্কার জিতে নিলেন কেদার যাদব।