টেস্ট, ওয়ান ডে-তে হোয়াইটওয়াশ করা হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল টি-২০। সেটাও এদিন জিতে নিল বিরাট বাহিনী। ৭ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রেকর্ডও গড়ল। তবে যাঁরা শ্রীলঙ্কার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হার দেখছিলেন। অথচ শুধু দেশের জয়ই নয়, একটা ভাল লড়াই দেখতে চাইছিলেন। তাঁদের জন্য এদিন ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অন্তত লড়াইটা দিয়েছে। টস জিতে এদিন শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে নেমে নিরোশন ডিকওয়েলা, মুনাউইরা-র আগুনে ব্যাটিং শ্রীলঙ্কার স্কোরকে ওভার পিছু ১০ রানের ওপর নিয়ে চলে যায়। বড় রানের হাতছানি ছিল শ্রীলঙ্কার সামনে। পরে প্রীয়াঞ্জনের ৪০ রান শ্রীলঙ্কার স্কোরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। শেষের দিকে উদানার ১০ বলে ১৯ রান শ্রীলঙ্কাকে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭০ রান করার শক্তি যোগায়। শুরুটা যতটা ভয়ংকর হয়েছিল, স্কোর সে তুলনায় কিছুটা কম হলেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ৯ ও কে এল রাহুল ২৪ রানে প্যাভিলিয়নমুখো হওয়ার পর ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও মণীশ পাণ্ডে। এরপর দুজনের পরাক্রমী ব্যাটিংয়ের চোটে ক্রমশ বল ও জয়ের লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান কমতে থাকে। ভ্যানিস হতে থাকে শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা। তবে লড়াইটা জারি ছিল। এরমধ্যে বিরাটকে কিছুটা ক্লান্ত দেখায়। যা কিছুটা চিন্তার কারণ হলেও সেই ক্লান্তি ব্যাটিংয়ের ওপর পড়তে দেননি বিরাট। একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের সেই গুণ অবশ্য শিক্ষানবিশ খেলোয়াড়দের জন্য একটা বড় শিক্ষা। জয়ের জন্য ১০ বলে ১০ রান করতে হবে এই অবস্থায় ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ধরা পড়ে ব্যক্তিগত ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলয়নমুখো হন বিরাট। নামেন ধোনি।
শেষ ওভারে ১ রান জয়ের জন্য দরকার। এদিকে মণীশের রান তখন ৪৭ রান। অর্ধশতরান করতে দরকার ৩ রান। অর্থাৎ শেষ ১ রান তোলার জন্য চার বা ছয় হাঁকানোর দরকার ছিল। সেটাই করে দেখালেন মণীশ। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে দলকেই শুধু জেতালেন না, নিজের অর্ধশতরানটাও পূর্ণ করলেন। এদিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বিরাট কোহলি। সিরিজের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন ভারত অধিনায়কই। শ্রীলঙ্কা সফরে এমন স্বপ্নের অপরাজিত রেকর্ড দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে চর্চার বিষয় হয়ে রইল।