ভারতীয় টিম এখন অশ্বমেধের ঘোড়ায় রূপান্তরিত হয়েছে। হার কেমন হয় তার অনুভূতিটাই ভুলতে বসেছে বিরাট বাহিনী। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের দুরমুশ করার পর অনেকের মনে হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পারলেও অজিদের সঙ্গে এঁটে ওঠা অত সহজ হবে না। পরপর ৩টি ওয়ান ডে জিতে সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে দিল ভারতীয় দল। এদিন তারা ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল স্মিথের ছেলেদের।
এদিন ইন্দোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার, ফিঞ্চ এবং অধিনায়ক স্মিথের অনবদ্য ইনিংস অজি স্কোরের চাকা বনবন করে ঘোরাতে থাকে। একসময়ে ক্রিকেট বোদ্ধারাও মনে করছিলেন অজিদের এদিন ৩৫০ রান পার করা কোনও ব্যাপার হবে না। বিশেষত ফিঞ্চের মারকাটারি ব্যাট ১২৪ রানের একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পর ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানোটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দলগত ২৪৩ রানের মাথায় স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েল দুজনেই ঘরে ফেরার পর আচমকাই রানের গতিতে তালা পড়ে যায়। একের পর এক খেলোয়াড় মাঠে নেমেছেন আর আউট হয়ে ফিরেছেন। আর যাঁরা টিকেছেন তাঁরা ব্যাটে বলে সেভাবে সংযোগ তৈরি করে উঠতে পারেননি। যার ফলে ২৯৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ৫০ ওভার।
২৯৪ রান করতে হবে, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে রাহানে, রোহিত শর্মাই পরিস্কার করে দেন এদিন ভারত জিততেই মাঠে নেমেছে। রাহানে (৭০) ও রোহিত (৭১) রানে ফিরলে ম্যাচের হাল ধরেন কোহলি আর পাণ্ডিয়া। কোহলি এদিন ২৮ রানে আউট হলেও পাণ্ডিয়ার বিধ্বংসী ইনিংস আর মণীশ পাণ্ডের যোগ্য সঙ্গত অজিদের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেয়। মাঝে কেবল ব্যর্থ কেদার যাদব। জয় যখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা তখন চার মারতে গিয়ে আউট হন পাণ্ডিয়া (৭৮)। ধোনি মাঠে নামেন। ঠান্ডা মাথায় মণীশ পাণ্ডেকে সঙ্গে নিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেন। মণীশ জয়সূচক চার মেরে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এই জয়ের সুবাদে ভারত ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০-তে এগিয়ে সিরিজ পকেটে পুরল। এখন অপেক্ষা হোটাইট ওয়াশের।