অবশেষে হারের মুখ দেখতে হল ভারতকে। দেশে বিদেশে একটানা জিতে চলা বিরাট বাহিনীর জেতাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। ভারতবাসীও ভারতের খেলা মানেই জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা হচ্ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা এদিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে থমকে দিল অজি বাহিনী। ভারতকে ২১ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার লজ্জা থেকে মুখ বাঁচাল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের দাপুটে ব্যাটিং বুঝিয়ে দেয় বড় ইনিংস গড়তেই মাঠে নেমেছে তারা। হয়ও তাই। ওয়ার্নারের ১২৪ ও ফিঞ্চের ৯৪ রানের স্বপ্নের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে অক্সিজেন যোগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। এরপর হ্যান্ডসকম্বের ৪৩ বা হেডের ২৯ রানের ইনিংস অজি স্কোরকে আরও কিছুটা এগিয়ে দেয়। অবশেষে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৫ রানের পাহাড় গড়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় অজিরা।
পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনিং জুটি রাহানে ও রোহিত শর্মা সমান দাপটে ব্যাট করতে শুরু করেন। ফলে রানের চাকা ঠিকঠাক ঘুরতে থাকে। রাহানে ৫৩ রানে আউট হওয়ার পর বিরাট-রোহিত ম্যাচের হাল ধরেন। ভালই উঠছিল রান। কিন্তু বিরাটের বোঝাপড়ার ভুলে অসময়ে বাজে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় রোহিতকে। এটাই ছিল এদিনের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর কিছু পরে ২১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাটও। কেদার ও পাণ্ডিয়া জুটি এরপর ভাল ব্যাট করে ভারতের জয়ের আশা জিইয়ে রাখেন।
পাণ্ডিয়া ৪১ রানে আউট হওয়ার পর কেদার-মণীশ জুটিও ভাল খেলছিল। কিন্তু রান ও বলের ফারাক কমাতে গিয়ে কেদারের একটা ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা বাউন্ডারি লাইনে রিচার্ডসনের হাতে জমা পড়ে যায়। ধোনি নামেন। কিন্তু তারপরই মণীশ ফের ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে উইকেট হারান। ধোনি কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। এদিনের জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া ৫ ম্যাচের সিরিজে খাতা খুলল। সিরিজের ফল এখন ভারত ৩ অস্ট্রেলিয়া ১, বাকি আর ১টা ম্যাচ।