বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। হয়তো সেকথা মাথায় রেখেই টস জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বিরাট। স্মিথহীন অজি বাহিনীকে শুরুতেই ঝটকা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। ওয়ার্নারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে। এরপর ফিঞ্চ-ম্যাক্সওয়েল জুটি ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা চালালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার পর ফিঞ্চ লড়াই দিলেও অন্য প্রান্তে তখন কোনও অজি ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ টেকেননি।
ফিঞ্চ ৪৭ রান করলেও হেড (৯), হেনরিকস (৮), ক্রিস্টিয়ান (৯), পাইন (১৭), কুল্টারনাইল (১)-এর মত ব্যাটসম্যানেরা টেকেননি। এদিক অজি ইনিংসের ২০ ওভার শেষ হতে ৮ বল বাকি। স্কোর বোর্ডের দৈন্যদশা। মাত্র ১১৮ রান। এই অবস্থায় ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে রাঁচিতে। ফলে ম্যাচ বন্ধ।
সেই ম্যাচ ফের যখন চালু হয় তখন প্রায় ২ ঘণ্টা কেটে গেছে। ফলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম কার্যকর হয়। হিসেব নিকেশ করে যা দাঁড়ায় তা হল ভারতকে ৬ ওভার অর্থাৎ ৩৬ বলে জেতার জন্য করতে হবে ৪৮ রান। হাতে ১০ উইকেট।
এমন কিছু ব্যাপার না হলেও প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান ওঠায় কিছুটা চাপ বাড়ে। দ্বিতীয় ওভারে ছক্কাও আসে, উইকেটও পড়ে। পঞ্চম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণি কিছুটা রুখে দেয় বিরাট-শিখরের ব্যাট। ৬ বলে ৬ রান করতে হবে, এই অবস্থায় ম্যাচ গড়ায়। কিন্তু সেখানেই বাকি ছিল বিরাটের কামাল। তৃতীয় বলে চার মেরে ম্যাচ ৩ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে পকেটে পুরে নেয় ভারত।
এদিনের জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল কোহলির ভারত। এই সিরিজ জিততে পারলে আইসিসি ক্রমতালিকাতেও কিছুটা উপরে উঠবে ভারত। সেটাই এখন লক্ষ্য। প্রসঙ্গত ভারতের এখন অবস্থান ৫ নম্বরে। আগে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, উইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।