এই নভেম্বর মাসেই তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন বাইশ গজকে। ৪ বছর আগে ক্রিকেটের ভগবানকে শেষ দেখা গিয়েছিল উইলো হাতে যুদ্ধের ময়দানে নামতে। তবে সেটা ছিল ৫ দিনের ক্রিকেটের লড়াই। সেই লড়াইয়ে যোদ্ধারা এখনও সাদা জামা, সাদা প্যান্ট পরেই ময়দানে নামেন। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটের নম্বর ওয়ালা রঙিন জার্সি তিনি আরও আগে তুলে রেখেছিলেন আলমারিতে। মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরকে ১০ নম্বর জার্সি পরে শেষ মাঠে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায়, সাড়ে পাঁচ বছর আগে। ২০১২ সালের মার্চ মাসে। কাকতালীয় ভাবে এত দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও শচীনের তুলে রাখা জার্সির নম্বর আর কোনও ভারতীয় খেলোয়াড় পরেননি। হয়ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় তাঁর ব্যবহার করা জামার নম্বর গায়ে চড়িয়ে শচীন ও তামাম ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থককে শচীনের অবসরের কথা মনে পড়াতে চাননি তাঁর উত্তরসূরিরা। শচীনের সেই ১০ নম্বর জার্সিকেই এবার একরকম অবসরে পাঠাল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তবে বেসরকারি ভাবে। বোর্ডের তরফে এই নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি।
গত অগাস্টে ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরে পেসার শার্দূল ঠাকুর ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন। তাই দেখে ক্রিকেট ফ্যানরা ব্যাঙ্গের সুরে বলেন শার্দূল ‘শচীন’ হওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বিসিসিআইকেও একহাত নেন। শার্দূল ঠাকুর সেই সময় জানান, শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্বের কথা মাথায় রেখেই তিনি ১০ নম্বর পরেছিলেন। বোর্ড সূত্রের খবর, ১০ নম্বর জার্সির নিয়ে অনর্থক বিতর্ক ও তা থেকে খেলোয়াড়দের অহেতুক সমালোচিত হওয়া ঠেকাতে তারা এবার থেকে আর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০ নম্বর জার্সি ক্রিকেটারদের পড়তে দেবেনা। তবে বোর্ডের অন্যান্য সমস্ত ফরম্যাটে ১০ নম্বর জার্সির চল যেমন ছিল তেমনই থাকবে। প্রসঙ্গত, শচীন অবসর নেওয়ার পর আইপিএলে তাঁর দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাদের ১০ নম্বর জার্সিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানিয়েছিল।