৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ধরমশালায় যেভাবে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল তাতে অনেকেই মনে করতে শুরু করেছিলেন ভারতের সিরিজ জয়ের অভ্যাসে এবার ছন্দপতন হল বলে। বিরাটহীন ভারতের পক্ষে এই শ্রীলঙ্কাকে হারানো সহজ হবে না। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই রোহিত শর্মার ডবল সেঞ্চুরির হাত ধরে খেলায় ফেরে ভারত। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বিশাখাপত্তনমে ছিল মরণ বাঁচন লড়াই। যে জিতবে সিরিজ তার, এই অবস্থায় এদিন টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
শ্রীলঙ্কার থারাঙ্গা যে ভয়ংকর ব্যাটিং শুরু করেন তাতে ভারতীয় দলের ঘুম ছুটে যায়। ক্রিকেট বোদ্ধাদেরও মনে হতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা যেভাবে ব্যাট করছে তাতে তাদের ৩০০ পার করা কোনও বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৫ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যবশত ধোনির দুরন্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হন থারাঙ্গা। তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৬০। উইকেট পড়েছে মাত্র ৩টে। সেখান থেকে আচমকাই খেলার মোড় ঘুরে যায়। খুব দ্রুত খেলার উপর নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে ভারত। পরপর উইকেট পড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার। ৪৪ ওভার ৫ বলে ২১৫ রানেই গুটিয়ে যায় গোটা শ্রীলঙ্কা দল। যেখানে ৩০০ রানের ওপর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা, সেখানে ২১৬ রানের সহজ লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল ভারতের জেতার টার্গেট।
ব্যাট করতে নেমে আগের দিনের নায়ক অধিনায়ক রোহিত শর্মা দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও খেলাকে মারমুখী ব্যাটিং দিয়ে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন ধাওয়ান ও শ্রেয়স আইয়ার। শ্রেয়স ৬৫ রানে আউট হলেও ধাওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে শতরান করেন। কার্তিক অপরাজিত থেকে করেন ২৬ রান। ৩২ ওভার ১ বল খেলে ২ উইকেট হারিয়ে সহজে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। শুধু এদিনের ওয়ান ডে জেতাই নয়, সিরিজও পকেটে পুরে ফেলে ভারত। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হন কুলদীপ যাদব। প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজ হন শিখর ধাওয়ান।