সিরিজ হারা কাকে বলে তা অনেকদিনই ভুলে গেছে ভারতীয় দল। মাঝেসাঝে এক আধটা ম্যাচ হেরে যায় ঠিকই। তবে তা গুনতিতে আসে না। তারা যে এখন ক্রিকেট বিশ্বে কার্যত ডাইনোসরে পরিণত হয়েছে তা আরও একবার বুধবার বুঝিয়ে দিল বিরাটহীন ভারত। কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে হাল্কা কুয়াশা ঢাকা সবুজ গালিচায় এদিন সন্ধেয় টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা।
ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত গতিতে রান না তুললেও কেএল রাহুল (৬১), শ্রেয়স আইয়ার (২৪), রোহিত শর্মা (১৭) ভারতকে মোটামুটি ভাল রানের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। কিন্তু তা হয়তো শ্রীলঙ্কার কপালে ভাঁজ ফেলার মত দারুণ কিছু ছিল না। তবে এঁরা ৩ জন প্যাভিলিয়নে ফেরার পর মণীশ পাণ্ডে ও ধোনি যে ভয়ংকর ব্যাটিং দেখালেন তাতে শ্রীলঙ্কার ঘুম ছুটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষত শেষ ২ ওভারে এই ২ ব্যাটসম্যান যে আগ্রাসী ব্যাটিং প্রতিভার সাক্ষর রাখলেন তাতে ভারতের স্কোর ১৮০-তে গিয়ে ঠেকে। যা তার ৪ ওভার আগেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভাবতে পারছিলেন না।
১৮১ রান করলে জিতবে, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার চেষ্টা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। বিশাল রান তাড়া করতে তা ছাড়া হয়তো উপায় ছিলনা। কিন্তু অতটাও তাড়াহুড়োর দরকার ছিলনা। এই হাঁকপাঁক করে রান তাড়া করতে গিয়েই নিয়মিতভাবে পড়তে শুরু করে শ্রীলঙ্কার উইকেট। ডিকওয়েলা (১৩), থারাঙ্গা (২৩), পেরেরা (১৯) ও চামিরা (১২) রান করা ছাড়া শ্রীলঙ্কার কেউ ২ অঙ্কের রানও ছুঁতে পারেননি। যারফলে মাত্র ১৬ ওভারেই ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ভারত জেতে ৯৩ রানে। চাহল ৪, হার্দিক ৩, কুলদীপ ২ ও উনাদকাট ১ উইকেট পান। ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন এমএস ধোনি। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন যজুবেন্দ্র চাহল।