দেশের মাটিতে একের পর এক সিরিজ পকেটে পুরে ২০১৭-টা মনে রাখার মত কেটেছে ভারতের। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই সিংহের ডেরায় সিংহের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ ভারত কতটা সামলাতে পারে তা দেখতে উন্মুখ হয়ে ছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। সেখানে এখনও পর্যন্ত কিন্তু ডাহা ফেল ভারত। একমাত্র ব্যতিক্রম হার্দিক পাণ্ডিয়া। যাঁর ৯৩ রানের অমূল্য ইনিংসের জোরে এখনও ভারত কিছুটা হলেও লড়াইয়ে। নাহলে দ্বিতীয় দিনেই খেলার ভাগ্য পরিস্কার করে দিতেন প্রোটিয়ারা।
প্রথম দিনে বিরাট, শিখর, বিজয় ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের সকালে পূজারা ও রোহিত শর্মার কাছে রান তোলা নয়, ক্রিজ আঁকড়ে থাকাটাই যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যে কারণে ৫৯ বল খেলে রোহিত করেন মাত্র ১১ রান। তারপর আউট। একইভাবে ৯২ বল খেলে পূজারা করেন ২৬ রান। কিন্তু রানের চেষ্টা না করে কিছুতেই আউট হব না ভেবে যাঁরাই ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেছেন ব্যর্থ হয়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাস তাই বলছে। এদিনও তার অন্যথা হয়নি।
এদিন হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রোটিয়া পেটানো ৯৫ বলে ৯৩ রানের স্বপ্নের ইনিংস কার্যত গোটা ভারতীয় দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে ভুবনেশ্বর কুমারের যোগ্য সঙ্গত। বাকিরা চরম ব্যর্থ। অবশেষে ২০৯ রানে ভারত অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম ৩৪ ও ইগার ২৫ রান করে আউট হলেও ক্রিজে রয়েছেন রাবাদা ও আমলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান। ভারতের চেয়ে ১৪২ রানে এগিয়ে। সব ঠিকঠাক গেলে এই ম্যাচে ভারতের বাঁচার আশা সামান্যই। তবে কথায় বলে ক্রিকেট ইজ এ গেম অফ আনসার্টেন্টি। দেখা যাক তৃতীয় দিনে ভারত ম্যাজিক দেখাতে পারে কিনা।