
এমন অসহায়ভাবে শেষ কবে ভারতকে হারতে হয়েছে তা মনে করতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদেরও সময় লাগবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই হারই হজম করতে হল বিরাটদের। ছেলেখেলা করে ভারতকে উড়িয়ে দিল প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কার্যত সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের সব আশা। কারণ পরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২০৯ রানেই শেষ হয়ে যায়। তাও এর ধারেকাছেও পৌঁছনো যেতনা, যদি না হার্দিক পাণ্ডিয়া ৯৩ রানের একটা স্বপ্নের ইনিংস খেলতেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিষাক্ত পিচে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ফলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে ২০৮ রান করতে পারলেই ভারত ম্যাচটা জিততে পারত। শুনতে ২০৮ রান হলেও কেপ টাউনের পিচে সেই রানে পৌঁছনো যে কতটা কঠিন তা ভালই জানত বিরাট বাহিনী। সেইমত মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে হয়তো খেলতেও পারত ভারতে তথাকথিত তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ। কিন্তু হল কই! শুরু থেকেই কাঁপতে থাকে ভারতের ব্যাট। তার ওপর ফিল্যান্ডারের ভয়ংকর বোলিং। যার মুখে ভারতের কোনও ব্যাটসম্যানই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একাই ৬ উইকেট তুলে নেন ফিল্যান্ডার। প্রথম ম্যাচে ৫ রান করা অধিনায়ক বিরাট ২৮ রান করে আউট হন। অশ্বিন ৩৭ রান করেন। তবে অন্যদের অবস্থা দুর্বিষহ। ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ৭২ রানে প্রথম টেস্ট জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ২ দিন খেলা হয়েছিল। তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। আর চতুর্থ দিনে পুরো সময় না খেলেই হেলায় ম্যাচ জিতে নিল প্রোটিয়ারা। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০-তে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন দেশের মাটিতে অন্য দলকে হারানো আর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে প্রোটিয়াবধ একদম আলাদা। তাই এবার ভারতীয় দলের অ্যাসিড টেস্ট। সেই অ্যাসিড টেস্টে শুরুতেই হোঁচট খেল বিরাট কোহলির ভারত।