সব সমালোচনার জবাব যে কীভাবে মাঠে দিতে হয় তার উদাহরণ হয়ে থাকলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচে ভারত জিতবে না হারবে তা কারও জানা নেই। তবে খাতায় কলমে পাল্লা ভারি দক্ষিণ আফ্রিকারই। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেও বিরাটের ঔজ্জ্বল্যের ধারেকাছেও কেউ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিষাক্ত পিচে যখন ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানেরা নাকানিচোবানি খাচ্ছেন, তখন একাই অধিনায়ক হওয়ার সবটুকু দায়বদ্ধতা বজায় রেখে ১৫৩ রানের স্বপ্নের ইনিংস খেললেন বিরাট। সেঞ্চুরিয়নের মাঠে বিরাটের খেলা প্রোটিয়াদেরও কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে খেলতে নামা ভারত এদিন কার্যত বিরাটের চওড়া ব্যাটে ভরসা করেই বাঁচার আশা খুঁজে পায়।
এর বাইরে এদিন একমাত্র নজর কেড়েছেন অশ্বিন (৩৮)। ৩০৭ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। তখনও ২৮ রানে প্রোটিয়াদের থেকে পিছিয়ে ভারত। এই অবস্থায় ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার যে ২ ব্যাটসম্যান ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে সেই মার্করাম ও আমলা আউট হয়ে যান দলগত ৩ রানের মাথায়। ৩ রান ২ উইকেট। ভারতীয়দের আচমকাই জয়ের গন্ধে বিভোর করতে শুরু করে। কিন্তু এরপরই দুদিকে পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে যান ইগার ও ডেভিলিয়ার্স। দিনের শেষে ডেভিলিয়ার্স (৫০) ও ইগার (৩৬) অপরাজিত অবস্থায় রয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৮ রানে এগিয়ে।