এমন অক্লেশ জয়। তাও আবার খোদ সিংহের ডেরায় ঢুকে। এমন ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল। এদিন সেই বিরল ঘটনাটাই সেঞ্চুরিয়নে করে দেখালেন বিরাটরা। এদিনের অনন্য কৃতিত্বের দাবিদার কিন্তু ২ ভারতীয় স্পিনার। যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব। চাহাল এদিন তুলে নেন ৫ উইকেট। কুলদীপ ৩ উইকেট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৮ রানে। আমলা (২৩), ডি কক (২০), ডুমিনি (২৫), জোন্দো (২৫) ও ক্রিস মরিস (১৪)। এই ৫ জনই কোনওক্রমে ২ অঙ্কের রান পার করতে পেরেছেন। বাকিরা এসেছেন আর গেছেন। ডুমিনি ও জোন্দো জুটি কিছুক্ষণ লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে প্রথম আত্মপ্রকাশেই দলের হয়ে এই দুর্দিনের ম্যাচেও ২৫ রান যোগ করেন জোন্দো। ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এমন করুণ অবস্থা প্রোটিয়াদের নিজেদের পিচে কবে হয়েছে তা তাদেরও মনে আছে বলে মনে হয়না।
১১৯ করলে জিতবে। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে ভারত কেবল ১ উইকেট হারিয়ে ২০.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। রোহিত শর্মা (১৫) আউট হলেও শিখর ধাওয়ান (৫১) ও বিরাট কোহলি (৪৬) অপরাজিত থেকে রান তুলে নেন। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। টেস্টে সিরিজ হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ভারত এগিয়ে রইল ২-০ ব্যবধানে।