দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রেখে শুরুতে টেস্ট সিরিজে বড় একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। সিংহের গুহায় ব্যর্থতার জন্য সমালোচিতও হতে হয় ভারতকে। কিন্তু সেসবের জবাব ওয়ান ডে সিরিজ ৫-১ ব্যবধানে জিতে ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে ভারতীয় দল। এবার টি-২০-তে তাদের ভেল্কি দেখানোর পালা। আর তা প্রথম টি-২০-তেই দেখিয়ে দিল বিরাটের ছেলেরা। ওয়ান্ডারার্সের মাটিতে এদিন শুধু জিতই নয়, ২টি রেকর্ড গড়ল ভারত। ওয়ান্ডারার্সের মাঠে ভারতের এটাই সবচেয়ে বড় স্কোর। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০-তে কখনও এতবড় রানের স্কোর করতে পারেনি ভারত। সেটাও রেকর্ড বৈকি!
এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে শিখর ধাওয়ানের দাপুটে ব্যাটিংয়ের জোরে ভারত শুরুতেই বড় রানের স্কোর খাড়া করতে থাকে। ১৪ ওভারের শেষে মনে হচ্ছিল ভারত হয়তো ২০০-র অনেকটাই ওপরে রান টেনে নিয়ে যাবে। কিন্তু শিখর ধাওয়ান ৭২ রানে ফেরার পর রানের গতি কিছুটা হলেও মন্থর হয়ে পড়ে। তবে সবাই একটা পরিমাণ রান দলের খাতায় যোগ করে দিয়েছেন। তার জোরেই ২০ ওভারের শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৩ রান তুলতে সমর্থ হয় ভারতীয় দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে তেমন এঁটে উঠতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ৪৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। প্রথম ১০ ওভারের শেষে ৮০ রানের ওপর পৌঁছতে সমর্থ হয় তারা। আর সেখানেই খেলার ভবিষ্যৎ স্থির হয়ে যায়। ১০ ওভারের পর খেলার ছন্দ বদলে চালিয়ে খেলার রাস্তায় হাঁটেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনড্রিকস ও বেহারদিয়েন। কাজও হয়। কিছুটা বাড়ে রান রেট। কিন্তু রিকোয়ারিং রান রেট তার চেয়েও দ্রুত গতিতে চড়তে থাকে। পরের ৪ ওভারে ভাল লড়াই দেন ২ জনে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বেহারদিন ও ৭০ রানে হেনড্রিকস ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। সামান্য বলে বিশাল রানের প্রয়োজন। তাই নেমেই চালিয়ে খেলার রাস্তায় হেঁটে একের পর এক পড়তে থাকে উইকেট। এসময়ে ভুবনেশ্বর কুমারের ১টি ওভারে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওটাই ছিল কফিনে শেষ পেরেক। এরপর ফেরার আর কোনও রাস্তা ছিলনা। তবে ২০ ওভার সম্পূর্ণ করাই ছিল লক্ষ্য। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে সেই লক্ষ্য সম্পূর্ণ করে প্রোটিয়ারা। ভারত জেতে ২৮ রানে। ভারতের দুরন্ত জয়ে সিরিজে ১-০-এ এগিয়ে গেল ভারত।